×
ব্রেকিং নিউজ :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই : নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে : জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ওএমএস-এর আওতায় ৪৫ পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি হচ্ছে ‘অপশক্তির দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়’ আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত ভারত ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে জ্ঞান বিনিময়ে আগ্রহী নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে : নাহিদ ইসলাম দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-১৮
  • ৭৩২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি:- দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের মুখোমুখি করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কমনওয়েলথ সম্মেলন উপলক্ষে দেশটি সফর করা বাংলাদেশের সরকার প্রধান বলেন, ‘তাকে (তারেক রহমান) দেশে ফেরাতে যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলছি। অবশ্যই একদিন আমরা তাকে দেশে ফিরিয়ে আনবো। তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকালে লন্ডনে ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে (ওডিআই) ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন গল্প: নীতি, অগ্রগতি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান শেখ হাসিনা। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি হয়ে লন্ডন যান তারেক রহমান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই আছেন। দুই বছর আগে বিদেশে অর্থপাচার মামলায় তারেককে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করে হাইকোর্ট। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তার ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ‍দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়েছে। এই মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হওয়া মা খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর তারেককে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেছে বিএনপি। তারেকের বিরুদ্ধে আরও বিভিন্ন মামলা চলছে। এর মধ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার বিচার একেবারে শেষ পর্যায়ে। এই মামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। তারেক রহমানকে এই হামলার পরিকল্পনাকারীদের একজন হিসেবে দাবি করছে রাষ্ট্রপক্ষ। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারে থাকার সময় প্রভাবশালী হয়ে উঠা বনানীর হাওয়া ভবনে এই হামলা নিয়ে জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল মান্নান, ফাঁসিতে ঝুলা জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজহিদের মধ্যে একাধিক বৈঠক হয় বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছেন মুফতি হান্নান। তার একটি ভিডিও জবানবন্দিও আছে সামাজিক মাধ্যম ইউটিউবে। এই মামলায় এখন আসামিদের যুক্তিতর্ক চলছে। কয়েক মাসের মধ্যেই এই মামলার রায় প্রকাশ হবে বলে বলে আশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। তারেককে আশ্রয় দেয়ায় যুক্তরাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘যুক্তরাজ্য একটি অবাধ স্বাধীনতার দেশ এবং এটি সত্যি যে, যেকোনো ব্যক্তি এখানে আশ্রয় নিতে এবং শরণার্থী হতে পারে। তবে তারেক রহমান অপরাধের কারণে আদালত কর্তৃক একজন দণ্ডিত ব্যক্তি। আমি বুঝতে পারি না, একজন দন্ডিত ব্যক্তিকে কিভাবে যুক্তরাজ্য আশ্রয় দিয়েছে।’ ‘তার (তারেক রহমান) উচিত আদালতের মুখোমুখি হওয়া। আমরা বৃটিশ সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলছি। অবশ্যই একদিন আমরা তাকে ফেরত নেব।’ আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, তাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। ‘প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখিয়ে আসছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মন্ত্রীরা উভয় দেশ সফর করেছেন। সঙ্কটের সমাধান খুঁজে বের করতে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের সকল প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আগ্রহ দেখালেও বাস্তবে তারা কিছুই করেনি। তাই আমরা চাচ্ছি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করুক।’ বর্ষা মৌসুমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্যাপক দুর্ভোগের আশঙ্কা করছেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘বর্ষার আগমনে সেখানে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সরকার সকল ব্যবস্থা নিয়েছে এবং তাদেরকে একটি ভালো জায়গায় স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যাতে তারা সেখানে ভালোভাবে থাকতে পারে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক শরণার্থী সীমান্তে অবস্থান করছে। সেখান থেকে মাত্র একটি পরিবারের অর্ধেক লোককে মিয়ানমার নিয়ে গেছে। এর মাধ্যমে সম্ভবত তারা বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছে যে, তারা ফেরত নিচ্ছে। এটি শুভ লক্ষণ। তবে মাত্র একটি পরিবারের অর্ধেক লোককে কেন?’ রোহিঙ্গাদের বাঁচিয়ে রাখতে খাদ্যসহ সব ধরনের সহায়তার পাশাপাশি সব কিছুই করা হচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আমরা তাদের জন্য সেখানে কিছু ভবন ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat