প্রজনন স্বাস্থ্য কনটেন্টটিতে প্রজনন স্বাস্থ্য কী, পুরুষদের প্রজনন ব্যবস্থা, স্ত্রী প্রজনন ব্যবস্থা, প্রজনন স্বাস্থ্যজনিত রোগ, প্রজনন স্বাস্থ্য পরিচর্যার উপাদানসমূহ, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার জন্য করণীয়, প্রজনন অধিকার, প্রজনন অধিকার প্রতিষ্ঠায় পুরুষের অংশগ্রহণ, প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তির স্থান সর্ম্পকে বর্ণনা করা হয়েছে।
প্রজনন স্বাস্থ্য মূলত সামগ্রিক স্বাস্থ্যেরই একটি অংশ। প্রজনন স্বাস্থ্য বলতে সন্তান জন্মদানের সাথে জড়িত পুরুষ ও মহিলার প্রজনন অঙ্গসমূহের সামগ্রিক সুস্থতা এবং এর সাথে মানসিক ও সামাজিক সুস্থতাও জড়িত।
প্রজনন স্বাস্থ্য কি
প্রজনন স্বাস্থ্য বলতে সেই স্বাস্থ্যকে বুঝায় যার মাধ্যমে মানুষ সু্স্থ ও নিরাপদভাবে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে, সু্স্থভাবে সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা রাখে ও তা কখন ও কিভাবে করবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে।
পুরুষদের প্রজনন ব্যবস্থা
পুরুষদের প্রজনন ব্যবস্থা হলো পুরুষের দেহের বাইরের দিকে এবং শ্রোণীর চারপাশে অবস্থিত কিছু অঙ্গের সমষ্টি। পুরুষের প্রজনন ব্যবস্থার মূল কাজ হলো ডিম্বানুকে নিষিক্ত করার জন্য পুং জননকোষ অথবা শুক্রাণু সরবরাহ করা।
স্ত্রী প্রজনন ব্যবস্থা
মহিলাদের শরীরের ভিতরে এবং শ্রোণীপথের চারপাশে অবস্থিত সারিবদ্ধ কিছু অঙ্গকেই স্ত্রী প্রজনন ব্যবস্থা বলা হয়।
প্রজনন স্বাস্থ্যজনিত রোগ
মানুষের প্রজনন স্বাস্থ্যজনিত রোগ গুলোকে প্রধানত: চারটি ভাগে ভাগ করা যায় যেমন:
- জীনগত অথবা জন্মগত অস্বাভাবিকতা বা সমস্যা
- ক্যান্সার
- সংক্রমণ বিশেষ করে যৌনবাহিত রোগ
- পরিবেশগত কারণে কার্যকরণ:গত সমস্যা যেমন:শাররীক ক্ষতি, মানসিক বিষয় এবং অন্যান্য কারণ। তবে সবচেয়ে বেশী পরিচিত কার্যকরণ:গত সমস্যা হলো যৌন সন্তুষ্টির অভাব এবং অনুর্বরতা।
- না ছেলে না মেয়ে হওয়া
- প্রোস্টেট ক্যান্সার (Prostate Cancer)
- স্তন ক্যান্সার (Breast Cancer)
- ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার (Ovarian Cancer)
- পিনাইল ক্যান্সার (Penile Cancer)
- জরায়ুস্থ ক্যান্সার (Uterine Cancer)
- টেস্টিকুলার ক্যান্সার (Testicular Cancer)
- জরায়ু মুখে ক্যান্সার (Cervical Cancer)
- এইচআইভি
- যৌনাঙ্গের আঁচিল (Genital Warts)
- হার্পিস সংক্রমণ (Herpes simplex)
- গনোরিয়া (Gonorrhoea)
- ছত্রাক জনিত সংক্রমণ (Fungal Infection)
- শ্রোণীর প্রদাহজনিত রোগ (Pelvic Inflammatory Diseases)
- সিফিলিস (Syphilis)
- পুরুষত্বহীনতা (Impotence)
- যৌন অঙ্গ সমূহ বৃদ্ধি না পাওয়া বা সক্রিয় না হওয়া (Hypogonadism)
- যৌন উত্তেজনা তৈরী না হওয়া
- অকালে বীর্যপাত হওয়া (Premature ejaculation)
- নিরাপদ মাতৃত্ব : গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসবোত্তর সেবা এবং নিরাপদ প্রসব সেবাসহ জরুরী প্রসুতি সেবা কার্যক্রম
- পরিবার পরিকল্পনা : নিরাপদ পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সেবা ও কাউন্সেলিং সেবা
- মা ও শিশুর পুষ্টি
- অনিরাপদ গর্ভপাত প্রতিরোধ
- প্রজননতন্ত্র সংক্রমণ/যৌনবাহিত রোগ/এইডস রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকারের সেবা।
- কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য পরিচর্যা সেবা
- নবজাতকের পরিচর্যা
- বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা সেবা
- মেনোপজ সেবা এবং
- প্রজননতন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সেবা
- প্রতিদিন প্রজনন অঙ্গ পরিষ্কার করা প্রয়োজন
- শিশুদের প্রথম থেকেই প্রজনন অঙ্গের যত্ন নিতে অভ্যস্থ করতে হবে
- প্রজনন অঙ্গ যেন ভেজা না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে; অন্যথায় ছত্রাক (ফাংগাল)জাতীয় রোগ দেখা দিতে পারে
- প্রতিবার পায়খানা-প্রস্রাবের পর ভাল করে প্রজনন অঙ্গ পরিষ্কার করতে হবে
- প্রজনন অঙ্গে কোনো ঘা-পাঁচড়া বা চুলকানি দেখা গেলে লজ্জা না করে দ্রুত ডাক্তার বা পরিবার পরিকল্পনা কর্মীর পরামর্শ নিতে হবে
- প্রতিবার যৌনমিলনের পর নারী-পুরুষ উভয়কেই যৌনাঙ্গ ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে
- নিরাপদ যৌনজীবনে অভ্যস্থ হতে হবে
- প্রতিটি মানুষের রয়েছে বেঁচে থাকার ও জীবন ধারনের অধিকার
- তার রয়েছে স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার অধিকার
- স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যত বেশি সম্ভব ততটা স্বাস্থ্য বজায় রাখার অধিকার
- পরিবার পরিকল্পনার অধিকার
- তার রয়েছে বিয়ে করার ও নিজ পরিবার গঠনের অধিকার
- তার একটি অত্যন্ত ব্যক্তিগত পারিবারিক জীবনের অধিকার রয়েছে
- সন্তান নেয়া বা না নেয়া,নিলে কখন নেবে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার তার আছে
- বিজ্ঞানের নতুন সব উপকরণের সুবিধা লাভের ও সেবা পাওয়ার অধিকার তার রয়েছে
- তার রয়েছে শিক্ষা লাভের অধিকার
- লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যহীন সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকার
- বয়সের জন্য কোনো বৈষম্য না পাওয়ার অধিকার
- স্ত্রীর সাথে আলোচনা করে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ। কখন,কয়টি এবং কতদিন পর সন্তান নেবেন তা ঠিক করা
- পরিকল্পিত পরিবার গঠনের জন্য দুটির বেশি সন্তান না নেয়া এবং প্রথম সন্তান থেকে দ্বিতীয় সন্তানের মাঝে অন্তত ৩ বছর বিরতি দেয়া
- পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণের ক্ষেত্রে পুরুষের অগ্রণী ভূমিকা রাখা
- যৌনমিলনের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকা
- যৌনরোগের লক্ষণ দেখা গেলে দুজনেরই দ্রুত চিকিৎসা নেয়া
- সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ উভয়েরই ভূমিকা আছে তবে সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা নির্ভর করে পুরুষের বীর্যে যে শুক্রানু আছে তার ওপর-এই তথ্যটি জেনে রাখা
- স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণের ক্ষেত্রে পুরুষদের এগিয়ে আসা।
- গ্রাম পর্যায়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মী
- স্যাটেলাইট ক্লিনিক
- ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র
- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- জেলা হাসপাতাল
- মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র
- নিরাপদ মাতৃত্ব
- পরিবার পরিকল্পনা
- ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভপাত নিবারণ
- পুরুষের দায়িত্বপূর্ণ আচরণ
- কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য
- যৌনবাহিত রোগের কার্যকর প্রতিরোধ
- প্রজনন অঙ্গ সংক্রমনের চিকিৎসা।
- জন্মের পর পরই
- শিশু বয়স
- বয়সন্ধিকাল
- প্রজননক্ষম বয়স (মহিলাদের জন্য ১৫-৪৯ বছর বয়স)
- প্রজনন বয়সের পরবর্তী জীবন (৪৯+)
- অন্ডকোষ (Testes)
- অন্ডকোষের থলে (Scrotum)
- ইপিডিডাইমিস (Epididymis)
- সেমিনাল ভেসিকল (Seminal vesicles)
- মূত্রথলিস্থ অগ্রগ্রন্থি (Prostate)
- ভাস ডিফারেন্স (Vas deferens)
- পুং জননেন্দ্রিয় (Penis)
- মূত্রনালী (Urethra)
- ভাস ডিফারেন্স (Vas deferens)
- কাউপার’স গ্রন্থি (Cowper’s gland)
- দীর্ঘ পেশী বহুল দৈহিক উচ্চতা
- ভরাট গলার স্বর
- মুখে এবং শরীরে লোম
- চওড়া কাঁধ
- কন্ঠার হাড় চওড়া হওয়া ( adam’s apple)
- গুরুত্বপূর্ণ পুরুষালী যৌন হরমোন : এন্ড্রোজেন (Androgen), টেস্টোরেস্টরন (Testosterone)
- যোনিপথ (Vagina)
- জরায়ু (Uterus)
- ডিম্বাশয় (Ovaries)
- স্বল্প দৈহিক উচ্চতা
- দেহে উচ্চমাত্রায় চর্বি
- প্রশস্ত নিতম্ব
- স্তন গ্রন্থি
- স্তন স্ফীত হওয়া
- গুরুত্বপূর্ণ স্ত্রী যৌন হরমোন : ইস্ট্রোজেন (Estrogen), প্রোজেস্টেরন (Progesterone)