×
ব্রেকিং নিউজ :
সাফ শিরোপা জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে ‘জুলাই অভ্যুত্থান ২০২৪’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে বিএনপি’র লিয়াজোঁ কমিটি ও গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় ছাত্রদল ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী : নাসির উদ্দিন নাসির রাঙ্গামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ শহিদ সাংবাদিকদের পরিবার ও আহতদের পাশে থাকবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট : নাহিদ ইসলাম যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন : মির্জা ফখরুল দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংস্কার হতে হবে টেকসই, যেন আপত্তিকর চর্চার পুনরাবৃত্তি না হয় : ফলকার
  • প্রকাশিত : ২০১৭-০৪-০১
  • ৫০৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
মুসলমানদের জন্য কতটুকু যুক্তিক এপ্রিল ফুল পালন করা?
সংবাদ বিডি .টিভি ডেস্ক:-  ১৪৯২ সালের ১ এপ্রিল স্পেনে মোসলমানদের নিষ্ঠুর ভাবে বোঁকা বানানো হয়েছিলো। সেই দিনটি আমরা পালন করছি এখনও। এপ্রিল ফুল অর্থ এপ্রিলের বোকা।বোকা বানানোর দিবস। ধোঁকা দেবার দিন। এ দিনটিতে মিথ্যা বলে, কষ্ট দিয়ে কিংবা প্রতারণা করে হাস্যরস সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। তাই হয়ে আসছে দীর্ঘদিন। প্রশ্ন হলো,মুসলমানদের জন্য কতটুকু যুক্তিক  এ  দিবসটি পালন করা ? দিবসটি এলো কি ভাবে? কারা ছিল এপ্রিলের বোকা? আমরাই বা কেন পালন করছি এ দিবসটি?  তবে কি,না জেনে, না বুঝেই “এপ্রিল ফুল” পালন করছি আমরা?  এপ্রিল ফুল মানেই মুসলমানদের বোকা বানানোর দিন; মুসলমানদের ধোকা দেবার দিন এটি? ৫ শ’ বছরেরও বেশি সময় আগে মুসলমানদের বোকা বানানোই হয়েছিল এপ্রিলের এই দিনটিতে। তাহলে কেন পালন করছি এই দিনটি আমরা ? এ দিবস আমাদের পালন করা কতটা হাস্যকর তা পাঠক নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। এপ্রিল ফুল মুসলিম ইতিহাসের এক হৃদয় বিদারক ঘটনা। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পাশ্চাত্যের কায়দায় মুসলিম দেশগুলোতেও প্রতি বছর কিছু লোক এপ্রিল ফুল ডে পালন করে যাচ্ছে অবলিলায়। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আজ বহু মুসলিম সে ইতিহাস ভুলে গিয়ে এপ্রিলের দিনটিকে স্বাচ্ছন্দে অংশ গ্রহণ করছেন এবং প্রচুর কৌতুক ও রসিকতা উপভোগ করছেন। সেদিন ছিল ১৪৯২ সালের ১ এপ্রিল। ইউরোপের বুকে খ্রিষ্টান বাহিনী ধোকা দিয়ে শহরে প্রবেশ করে অসহায় মুসলিম নারী-পুরুষ, শিশুদের মসজিদের ভেতর আটকে রেখে। পরে একযোগে শহরের সমস- মসজিদে আগুন লাগিয়ে ববর্র উল্লাসে মেতে ওঠে বিধর্মী হায়েনার দল । ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সে দিন স্পেনের কুখ্যাত ফার্ডিন্যান্ড আল্লাহর ঘর পবিত্র মসজিদের চারি পার্শ্বে আগুন লাগিয়ে নৃশংসভাবে হাজার হাজার নিরপরাধ মুসলমানদেরকে হত্যার মাধ্যমে বিশ্বাস ঘাতকতার পরিচয় দেয় এবং রক্তে রঞ্জিত করে গ্রানাডার রাজপথ এবং তাদেরকে জোরপূর্বক খৃস্টান বানায়। ফার্ডিন্যান্ড সে দিন আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলে ছিল “হায় মুসলমান!  তোমরা এপ্রিলের বোকা।” স্পেনীয়দের দ্বারা মুসলমানদের বোকা বানানোর এই নিষ্ঠুর বিশ্বাসঘাতকতা বা শঠতা স্মরণীয় রাখার জন্য খৃস্টান জগৎ প্রতি বছর ১লা এপ্রিল খেলে থাকে রসিকতার খেলা, যে খেলা আমাদের কাছে বড় করুণের বড় বেদনার।ইতিহাসের হৃদয়বিদারক ঘটনা ভুলে না গেলে এপ্রিল ফুল কোনো মুসলিমকে আনন্দ দান করতে পারে না। এপ্রিল ফুল ডের এ হৃদয় বিদারক ঘটনা জানার পর ও কি আমরা এ দিনটিকে আমোদ-প্রমোদ কিংবা আনন্দের দিন হিসেবে পালন করতে পারি? কক্ষনোই না। এ দিনটি আসলে হওয়া উচিত আমাদের শোকের দিন, ইসলামের শত্রুদের চক্রানে-র বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দিন। আরেকটা কথা। মানুষকে ধোঁকা দেয়া, প্রতারণা করা এসব ইসলামী আদশের্র পরিপন্তী। ১লা এপ্রিলে যেভাবে মিথ্যা বলে রসিকতা করার চেষ্টা করা হয় তা কোনভাবেই মুসলমানদের সংস্কৃতি হতে পারে না। রাসূলে খোদা বলেছেন, “আমি রসিকতা করি ঠিক কিন্তু’ কখনো মিথ্যা বলি না।” তিনি আরও বলেছেন, “ধ্বংস তার জন্য যে লোক হাসানোর জন্য কথা বলে এবং তাতে সে মিথ্যার আশ্রয় নেয়।” অষ্টম শতাব্দীতে স্পেনে কায়েম হয় মুসলিম শাসন। মুসলমানদের নিরলস প্রচেষ্টায় স্পেন জ্ঞান-বিজ্ঞান, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সভ্যতার ক্ষেত্রে বিস্ময়কর উন্নতি লাভ করে । দীর্ঘ ৮০০ বছর একটানা অব্যাহত থাকে এ উন্নতির ধারা। স্পেনে মুসলমানদের ৮০০ বছরের গৌরবময় শাসনের ফলে দেশটিতে তখন অর্থসম্পদ, বিত্ত-বৈভবের অঢেল জোয়ার।মুসলমানরা ভোগ-বিলাসে মত্ত হয়ে ভুলে যায় কুরআন ও সুন্নাহর শিক্ষা। নৈতিক অবক্ষয় ও অনৈক্য ধীরে ধীরে গ্রাস করে তাদের । এ দুর্বলতার সুযোগগ্রহণ করে খ্রিষ্টান জগত্‌। তারা মেতে উঠে কুটিল ষড়যন্ত্রে । সিদ্ধান্তনেয়, ‘স্পেনের মাটি থেকে মুসলমানদের উচ্ছেদ করতে হবে।’ এ চিন্তা নিয়েই পর্তুগীজ রাণী ইসাবেলা চরম মুসলিম-বিদ্বেষী পার্শ্ববর্তী খ্রিষ্টান সম্রাট ফার্দিনান্দকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর দু’জন মিলে নেতৃত্ব দেন মুসলিম নিধনের । খ্রিষ্টানদের সম্মিলিত বাহিনী হাজার হাজার নারী-পুরুষকে হত্যাকরে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে উল্ল্লাস করতে করতে ছুটে আসে রাজধানী গ্রানাডায়। এতদিনে টনক নড়ে মুসলিম বাহিনীর। কখনো সম্মুখ যুদ্ধে মুসলমানদের পরাজিত করতে পারেনি বলে চতুর ফার্দিনান্দ পা বাড়ায় ভিন্ন পথে। তার নির্দেশে আশপাশের সব শস্যখামার জ্বালিয়ে দেয়া হয়। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় শহরের খাদ্য সরবরাহের প্রধান কেন্দ্র ভেগা উপত্যকা । অচিরেই দুর্ভিক্ষ নেমে আসে শহরে । দুর্ভিক্ষ যখন প্রকট আকার ধারণ করলো তখন প্রতারক ফার্দিনান্দ ঘোষণা করলো, মুসলমানরা যদি শহরের প্রধান ফটক খুলে দেয় এবং নিরস্ত্র অবস্তায় মসজিদে আশ্রয় নেয় তবে তাদের বিনা রক্তপাতে মুক্তি দেয়া হবে ।  ১৪৯২ সালের ১ এপ্রিল। দুর্ভাগ্য তাড়িত স্পেনবাসী অসহায় নারী ও মাসুম বাচ্চাদের করুণ মুখের দিকে তাকিয়ে খ্রিষ্টানদের আশ্বাসে বিশ্বাস করে খুলে দেয় শহরের প্রধান ফটক। সবাইকে নিয়ে আশ্রয় নেয় আল্লাহর ঘর পবিত্র মসজিদে। শহরে প্রবেশ করে খ্রিষ্টান বাহিনী মুসলমানদেরকে মসজিদের ভেতর আটকে রেখে প্রতিটি মসজিদে তালা লাগিয়ে দেয়।এরপর একযোগে শহরের সমস্ত মসজিদে আগুন লাগিয়ে বর্বর উল্লাসে মেতে ওঠে নরপশুরা । লক্ষ লক্ষ মুসলিম নারী-পুরুষ-শিশু অসহায় আর্তনাদ করতে করতে জীবন- দগ্ধ হয়ে র্মমান্তিকভাবে প্রাণ হারায় মসজিদের ভেতর।প্রজ্জ্বলিত অগ্নিশিখায় দগ্ধ অসহায় মুসলমানদের আর্তচিৎকার যখন  আকাশ-বাতাস ভারী ও শোকাতুর করে তুলল তখন রাণী ইসাবেলা হেসে বলতে লাগলো, ‘হায় এপ্রিলের বোকা ! শত্রুর আশ্বাস কেউ বিশ্বাস করে ?’ সেই থেকে খ্রিষ্টান জগৎ প্রতি বছর ১লা এপ্রিল আড়াম্বরের সাথে পালন করে আসছে। দুঃখের সাথে বলতে হয় “এপ্রিল ফুল” এর প্রকৃত ইতিহাস সর্ম্পকে না জানার কারনে আমরা আমাদের পূর্বসূরীদের দুর্ভাগ্যকে আনন্দের খোরাক বানিয়ে এপ্রিল ফুল পালন করছি।  

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat