সুপারসনিক ফান ভয়েস মেসেঞ্জার,মুখের কথা হয়ে যাবে ইমোজি
তথ্য ও প্রযুক্তি ডেস্ক:-
সামাজিক মাধ্যমগুলোতে নিয়মিত বার্তা চালাচালি করেন অথচ ইমোজি ব্যবহার করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। দ্রুত ও সঠিক ইমোজি নির্বাচন আপনার কথোপকথনকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। তবে দ্রুত ইমোজি নির্বাচন করতে গিয়ে অনেকেই ঝামেলার সম্মুখীন হন। অনেকেই আবার সঠিক ইমোজি খুঁজে পান না, যেটা তার মনের ভাবকে ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারে। তবে এমন যদি হয়, আপনি যা বলবেন সেটার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ইমোজি তৈরি হয়ে যাবে, তাহলে অনেক সুবিধা হয়। এমন সুবিধা করে দিতেই গুগল কাজ করছে নতুন একটি পরীক্ষামূলক মেসেজিং অ্যাপ নিয়ে। তবে এই অ্যাপে গুগল জোর দিচ্ছে অডিওর ওপর।
এই নতুন অ্যাপটির নাম হবে ‘সুপারসনিক ফান ভয়েস মেসেঞ্জার’। গুগলের আঁতুড়ঘর হিসেবে খ্যাত এরিয়া ১২০ থেকেই বের হচ্ছে অ্যাপটি। এটি হবে গুগলের দ্বিতীয় অ্যাপ। অ্যাপটি নির্মিত হচ্ছে অ্যানড্রয়েড এবং আইওএসের জন্য। গত সপ্তাহে গুগল ভিডিও অ্যাপ দেখার জন্য আইওএসের উপযোগী করে তৈরি করে আরেকটি অ্যাপ, যার নাম ‘আপটাইম’।নতুন অ্যাপটি অত্যন্ত নির্ভুল ও বিদ্যুৎগতি—দুটোই নিশ্চিত করবে। সুপারসনিক বিষয়টাই এমন যে বার্তা এত দ্রুত আপনার বন্ধুর কাছে পৌঁছাবে, যাতে মনে হবে আপনি আপনার বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন, যা একটি দুর্দান্ত সংযোজন। এর মানে হচ্ছে আপনাকে আপনার বন্ধুর সম্পূর্ণ বার্তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। কথা বলবেন আর সেটা সঙ্গে সঙ্গে টেক্সট ও ইমোজিতে রূপান্তরিত হয়ে যাবে।এই অ্যাপটির আরো সুবিধা হলো বার্তা পড়ার পাশাপাশি আপনি আপনার বন্ধুর মূল অডিওটাও শুনতে পারবেন। মূলত মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং খুদেবার্তা এ দুটার সমন্বয় ঘটিয়ে এ অ্যাপ তৈরি হয়েছে।অ্যাপটিতে থাকছে আরো বিভিন্ন রকম ফিচার। এর মধ্যে রয়েছে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টাইল বট, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুপারসনিক হেল্প-বট’। এর মাধ্যমে আপনি এই বটকে যেকোনো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারেন এবং এটি জবাব দেবে এর নিজস্ব কণ্ঠে ও ইমোজির মাধ্যমে। অ্যানড্রয়েড হাউসপার্টির মতো এখানেও লাউঞ্জ নামে একটি ফিচার রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি সেসব ব্যবহারকারীকে খুঁজে পাবেন, যাঁরা এই অ্যাপ ব্যবহার করেন।নতুন নতুন চিন্তাধারণা নিয়ে কাজ করে গুগলের এরিয়া ১২০। এরিয়া ১২০-এ এই সুপারসনিক অ্যাপটির জন্ম হলেও গুগলের নিজস্ব চিহ্নিত অ্যাপের মর্যাদা পাচ্ছে না। তবে সম্ভাবনা রয়েছে ভবিষ্যতে এটি গুগলের বর্তমান বার্তা আদান-প্রদানে ব্যবহৃত অ্যাপ ‘আল্লো’র জায়গা দখল করে নিতে পারে।