স্পোর্টস ডেস্ক:-
গত ফেব্রুয়ারিতে আইসিসির নতুন সংবিধানের খসড়া নীতিমালা তৈরির সময় ইতিবাচক সিদ্ধান্তই জানানো হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে। আগামী এপ্রিলে আইসিসির পরবর্তী সভায় চূড়ান্ত হওয়ার কথা নতুন এই সংবিধান। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে যে, নতুন এই সংবিধানের কিছু বিষয়ে আপত্তি আছে বিসিবির। বাংলাদেশের শততম টেস্ট উপলক্ষে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান।
ক্রিকেট বিশ্বে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার যে চেষ্টা ২০১৪ সালে চালানো হয়েছিল, তা বাতিল করার জন্যই নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে যাচ্ছে আইসিসি। তবে নির্দিষ্ট দুটি বিষয় নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিসিবি।বর্তমানে কোনো দেশ আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ অর্থাৎ টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়ে গেলে সেটা বাতিল হওয়ার কোনো নিয়ম নেই ক্রিকেট বিশ্বে। কিন্তু নতুন সংবিধানে এই জায়গায় পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলে যেকোনো দেশের পূর্ণ সদস্যপদ পর্যালোচনা করার সুযোগ থাকবে। আর এ ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছে বিসিবি। আইসিসির সভায় ভোটাভুটির ক্ষেত্রেও অনেক বিকেন্দ্রীকরণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে নতুন সংবিধানে। এখানেও কিছু ক্ষমতা হারাবে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলো।এই দুটি ক্ষেত্রই আপত্তির জায়গা বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নাজমুল হাসান, ‘আমরা আইসিসিকে জানিয়েছি যে, নির্দিষ্ট দুটি বিষয় নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে। একটা হলো অবনমনের প্রস্তাব। কোনো পূর্ণ সদস্যের দেশকে নিচের সারিতে চলে যেতে হবে এ ব্যাপারে আমরা একমত নই। আমরা বলেছি যে, পূর্ণ সদস্যপদ কোনো মতেই বাতিল করা যাবে না।আরেকটি বিষয় হলো ভোটাভুটির অধিকার… আইসিসি নতুন স্বাধীন ডিরেক্টরদের ভোট গ্রহণ করবে। অ্যাসোসিয়েট সদস্য দলগুলোর সংখ্যা বাড়াবে। আমাদের এই ব্যাপারগুলো আরো ভালোভাবে বুঝতে হবে। আমরা এত দ্রুত এটাতে সম্মতি দিতে পারব না। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে সেটা আমাদের জানতে হবে।’আগামী এপ্রিলে নতুন সংবিধান চূড়ান্ত করতে চাইলে আইসিসির প্রয়োজন হবে আটটি ভোট। কিন্তু বাংলাদেশ যদি সেসময় নেতিবাচক সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে হয়তো আলোর মুখ দেখবে না আইসিসির এই নতুন সংবিধান।আইসিসির প্রথম স্বাধীন সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর পরই নিজেদের আপত্তির কথা জানাল বিসিবি। গত ফেব্রুয়ারির সভায় এই সংবিধানের বিরোধিতা করেছিল ভারত ও শ্রীলঙ্কা। আর জিম্বাবুয়ে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।