রুমানা চৌধুরী :–এক নারী জানিয়েছেন, তার সঙ্গীর যৌনতার সমস্যা রয়েছে। মূলত যৌনতার সময় তার বীর্যপাত হয় না। আর এ কারণে তার যৌন তৃপ্তিও হয় না। এ কারণে তিনি বেশ চিন্তিত। এ সমস্যার সমাধান কী হতে পারে? এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সেক্স থেরাপিস্ট ডেনিস নৌলেস। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইনডিপেনডেন্ট।
বিশেষজ্ঞ ডেনিস নৌলেস বলেন, কোনো পুরুষের যদি যৌনতার সময় বীর্যপাত না হয় তাহলে তা যথেষ্ট মানসিক চাপ তৈরি করে। আর এটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। অবশ্য এ জন্য চিন্তার কিছু নেই। কারণ সঠিক উপায় অবলম্বন করলে এ সমস্যার সমাধান করা যায়।বহু পুরুষেরই এ সমস্যা হয়ে থাকে। সাধারণত বয়স্ক পুরুষের এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে যেকোনো বয়সের পুরুষেরই এ সমস্যা হতে পারে।বীর্যপাত না হলেই এ ধারণা করা যাবে না যে, তিনি আপনার প্রতি আকৃষ্ট নন। একইভাবে তিনি যৌনতার জন্য অনুপযুক্ত, এমনটা ভাবারও কারণ নেই। কারণ সঠিক চিকিৎসায় বিষয়টির সমাধান করা সম্ভব।বিভিন্ন কারণে পুরুষের বীর্যপাত নাও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে, সঠিকভাবে কারণটি নির্ণয় করে তার সমাধানের চেষ্টা করা।সাধারণ যে কারণগুলোতে বীর্যপাত নাও হতে পারে সেগুলো হলো অ্যালকোহল আসক্তি, ডায়াবেটিস বা এ ধরনের রোগ, প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের সার্জারি, বিষণ্ণতা, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, নার্ভাসনেস ইত্যাদি।এগুলোর মধ্যে অ্যালকোহল আসক্তি বা অন্য কোনো নেশা গ্রহণের প্রবণতা থাকলে তা বাদ দিলে উপকার হবে। ডায়াবেটিস ও এ ধরনের রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে সমস্যা দূর হবে। মানসিক চাপ ও উদ্বেগের কারণে এমনটা হলে মানসিক চাপ দূর করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঘুম, বিশ্রাম ও চাপ মুক্ত থাকার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। উদ্বেগজনিত সমস্যা ও বিষণ্ণতা থাকলে মানসিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।অনেক পুরুষই তাদের সঙ্গী গর্ভবতী হয়ে পড়েন কি না, এ চিন্তায় সঠিকভাবে বীর্যপাত করতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরোধক ব্যবস্থা কিংবা জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারে তাকে আশ্বস্ত করলে সমস্যা সমাধান হতে পারে।এ ছাড়া যৌনতার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হয় এবং আরামদায়ক স্থানে যৌনতার জন্য আগ্রহী হতে হয়। মানসিক চাপ, বাড়তি পরিশ্রম, পুষ্টিকর খাবারের অভাব ইত্যাদি সমস্যাগুলো দূর করলেও এ সমস্যা চলে যায়। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু ওষুধ সেবনেও এ সমস্যা দূর করা যায়।অনেকেই সঠিকভাবে কারণ নির্ণয় করতে না পারায় নিজে থেকে এ সমস্যা সমাধান করতে পারেন না। আপনার সঙ্গীর সমস্যা যদি সমাধান করতে না পারেন তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন।