বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই তরুণ
নিজস্ব প্রতিনিধি: -
বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই তরুণকে দুদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম এ আদেশ দেন।
দুই তরুণ হলেন মোমিন মৃধা (১৯) ও হাসিবুল হাসান ফাহিম (১৯)। দুজনই দীর্ঘদিন ধরে মুঠোফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতারণা করে আসছেন বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।গত সোমবার দুজনকে দুদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে দুই তরুণকে হাজির করে কারাগারে বন্দি রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।এর আগে সিআইডি গত সোমবার ভোররাতে রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকা থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের কাছ থেকে পাঁচটি মুঠোফোন, ১৩টি সিমকার্ড, তিনটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র এবং বিভিন্ন নামের চারটি জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি পাওয়া যায়।সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিশেষ পুলিশ সুপার মির্জা আবদুল্লা হেল বাকী।বাকী জানান, গত ১০ জানুয়ারি মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রীর কাছে বিকাশের মাধ্যমে কিছু টাকা আসে। এর কিছুক্ষণ পর তাঁর মুঠোফোনে বিকাশের ‘ক্যাশ ইন’ নামে একটি ভুয়া মেসেজ আসে। সেটি বিকাশ থেকে পাঠানো মেসেজের মতোই ছিল। কিছুক্ষণ পর প্রতারকচক্রের সদস্য ওই ছাত্রীকে ফোন করে জানায়, ভুলবশত তার মুঠোফোনে বেশি টাকা পাঠানো হয়েছে। এর পর টাকা ফেরত পাঠাতে বলা হয়। প্রতারকদের কথা বিশ্বাস করে টাকা ফেরত পাঠান ওই ছাত্রী। পরে বিকাশ অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা চলে গেছে।এভাবে আসামিরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল বলে জানান সিআইডি কর্মকর্তা।সিআইডির কর্মকর্তা জানান, ওই ঘটনার পর শাহজাহানপুর থানায় গত ১২ জানুয়ারি একটি মামলা করা হ্য়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বাকী আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন, তাঁদের চক্রের একজন সদস্য বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টের দোকানের সামনে ওত পেতে দাঁড়িয়ে থাকেন। তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো টাকার তথ্য ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন। পরে সেসব নম্বরে বিকাশের ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে তাঁরা প্রতারণা করে থাকেন।