×
ব্রেকিং নিউজ :
সাফ শিরোপা জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে ‘জুলাই অভ্যুত্থান ২০২৪’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে বিএনপি’র লিয়াজোঁ কমিটি ও গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় ছাত্রদল ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী : নাসির উদ্দিন নাসির রাঙ্গামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ শহিদ সাংবাদিকদের পরিবার ও আহতদের পাশে থাকবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট : নাহিদ ইসলাম যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন : মির্জা ফখরুল দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংস্কার হতে হবে টেকসই, যেন আপত্তিকর চর্চার পুনরাবৃত্তি না হয় : ফলকার
  • প্রকাশিত : ২০১৭-০৩-০২
  • ৫১৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
ভারতীয় বধূ পুড়লেন চিতায় আগুনে, জীবন্ত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- ফুসফুসের অসুখ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। চিকিৎসার একপর্যায়ে চিকিৎসকরা জানান, রোগী মারা গেছেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর রোগীর স্বামী রোগীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। কিন্তু পরে জানা যায়, রোগী বেঁচে ছিলেন। বরং শেষকৃত্যের আগুনে পুড়ে মারা যান ওই রোগী! ভারতের উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় শারদা হাসপাতালে ওই ঘটনা ঘটে। হতভাগ্য রোগীর নাম রচনা শিশোদিয়া (২১)। তবে হাসপাতালের দাবি, মৃত্যু সনদে দেওয়া তথ্যই ঠিক! ময়নাতদন্তে অন্য ফল এলেও নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরবে না তারা। ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে রচনার স্বামী দেবাশীষ চৌধুরী পলাতক। এ ব্যাপারে রচনার পরিবার থানায় মামলা দায়ের করেছে।ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে শারদা হাসপাতালে ভর্তি হন রচনা। ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্থান টাইমস জানিয়েছে, গত রোববার রাত পৌনে ১২টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, রচনা মারা গেছেন। আর তখন চিকিৎসকরা মৃত্যুসনদও তৈরি করে দেন। হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী রোববার দিবাগত রাত ১টা ২৭ মিনিটে স্ত্রী রচনার ‘লাশ’ গ্রহণ করেন দেবাশীষ। পরে তিনি তা নিয়ে যান আলীগড়ে। সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে রচনার শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করেন। সোমবার সকাল ৮টায় রচনার চিতায় আগুন ধরানো হয়। বোন মারা যেতে পারে তা রচনার ভাইয়ের বিশ্বাস হচ্ছিল না। বিষয়টি আলীগড় পুলিশকে জানিয়ে, পুলিশ নিয়েই রচনার ভাই হাজির হন শ্মশানে। ততক্ষণে রচনার ৭০ শতাংশ পুড়ে যায়। পুলিশ ওই শরীরই দ্রুত ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। গত মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে আসে। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, ফুসফুসের সংক্রমণে নয় বরং আগুনে পুড়ে মারা গেছেন রচনা। ময়নাতদন্তের ফলাফলের ব্যাপারে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, রচনার গলায়, ফুসফুসে আগুনে পোড়া ছাইভস্মের উপাদান মিলেছে। মৃত অবস্থায় থাকলে এসব তার গলা, বুকে যাওয়ার কথা নয়। নিশ্বাস নেওয়ার কারণেই তা হয়েছে। চিকিৎসকরা ডিএনএ পরীক্ষাও করেছেন, যা পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে। রচনার মামা কৈলাস সিং এ ব্যাপারে রচনার স্বামী দেবাশীষসহ আরো ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সব আসামিই বর্তমানে পলাতক। রচনাকে মৃত বলে দেওয়া আর মৃত্যুসনদ দেওয়ার ব্যাপারে নিজেদের সিদ্ধান্তেই অটল আছে শারদা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র অজিত বলেন, ‘চরম আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোগীটিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আমাদের চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন তাঁকে বাঁচানোর জন্য। রোববার রাতেই ওই রোগী মারা যান এবং ফুসফুসের সংক্রমণেই মারা যান। এ সিদ্ধান্তে আমাদের অবস্থান পরিবর্তন হবে না।’ এদিকে পলাতক অবস্থায় দেবাশীষ স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অর্থ-সম্পত্তির কারণে রচনার স্বজনরা তাঁকে ও তাঁর স্বজনদের ফাঁসাতে চাইছেন। উত্তর প্রদেশেরই বুলান্দশরের বাসিন্দা রচনা। দুই বছর আগে দেবাশীষের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এর পর থেকে নয়ডাতেই থাকতেন ওই দম্পতি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat