জহানারা খাতুন (ফ্লোরা):
মরক্কোর অন্তত ১৫ হাজার মসজিদে কয়েক বছরের মধ্যেই দেখা যাবে এই পরিবর্তন৷ তখন মারাক্কেশের এই মসজিদটির মতো অন্যগুলোতে ঢুকেও হয়ত কেউ বলে উঠবেন, ‘‘এ যেন আল্লাহর দান!’’এমন চমকই দেখিয়েছে মারাক্কেশের কুতুবিয়া মসজিদ৷ বাইরে থেকে কোনো বৈদ্যুতিক তার যায়নি ভেতরে, অথচ দিব্যি ঝলমলে আলো জ্বলছে মসজিদ জুড়ে৷
এক শুক্রবারের জুম্মার নামাজের সময় এ বিষয়টি দেখেই অবাক হয়ে এক কিশোরী বলছিল, ‘‘এ যেন আল্লাহর দান!’’আসলে সেখানে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল বসিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে আর সেই
বিদ্যুতেই আলো জ্বলছে, ফ্যান চলছে দেশের অন্যতম পুরনো মসজিদ কুতুবিয়ায়৷জার্মানির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জিআইজেড-এর সহায়তায় মসজিদটিতে এখন সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে৷মরক্কোয় ৫০ হাজারের মতো মসজিদ আছে৷ সে দেশের মিনিস্ট্রি অফ ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স ১৫ হাজার মসজিদে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে৷ সরকার চায়, আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে অন্তত ৬০০ মসজিদে ফটোভোল্টাইক (পিভি) প্যানেল স্থাপন করতে৷মারাক্কেশের কুতুবিয়া মসজিদের কারণে এখন ধীরে ধীরে অন্তত ১৫ হাজার
মসজিদে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ করার পরিকল্পনাকেও বাস্তবসম্মত মনে হচ্ছে৷ সত্যিই তো, একটিতে সম্ভব হলে, বাকিগুলোতে কেন নয়? ২০১৫ সালেক সারা দেশের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের অর্ধেক অন্তত দেশেই উৎপাদন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন মরক্কোর রাজা৷ ২০৩০ সালের মধ্যে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছিলেন তিনি৷ মরক্কো এখনো শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ বিদ্যুতের জন্যই অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল৷ তবে সরকার মনে করছে, সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনামতো বাড়াতে পারলে এ অবস্থা বেশিদিন থাকবে না৷
লুইস অসবোর্ন/এসিবি