বিনোদন ডেস্ক: – সকাল ৭টায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় শুরু হয়েছে বসন্ত উৎসব। ১৪২৩ সালের ফাল্গুনকে বরণ করে নেওয়ার জন্য বাঙালির অপেক্ষা। ফাগুনে প্রকৃতি নবরূপে সাজলেও শীতের ঠান্ডা আমেজ তখনো রয়ে গেছে। ধীরে ধীরে বকুলতলায় শুরু হয়েছে দর্শকদের আনাগোনা। মঞ্চের পেছনে অপেক্ষা করছেন শিল্পীরা, বসন্তকে নাচেগানে বরণ করে নেওয়ার জন্য।সকাল প্রায় সাড়ে ৭টায় উচ্চাঙ্গসংগীত শিল্পী ড. অসিত রায়ের বাসন্তি বাহার রাগ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় চারুকলার বসন্তবরণ উৎসব। একটা স্নিগ্ধ আমেজ ছিল পরিবেশনায়। এরপর মঞ্চে পরিবেশন হয় সাঁওতাল নৃত্য। সাঁওতাল নৃত্যের মধ্য দিয়ে মেতে ওঠে অনুষ্ঠান। একে একে গান, নাচ আর আবৃত্তির মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে অনুষ্ঠান।
মোর বীণা ওঠে কোন সুরে বাজি এবং বসন্তে ফুল গাঁথল- এই দুটো রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশ করেন সুরতীর্থের শিল্পীরা। শিল্পী ফাহিম হোসেন পরিবেশন করেন ‘ওলি বার বার ফিরে যায়’।সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনায় ছিল ‘আয়রে বসন্ত’ গানটি। বসন্ত এসে গেছে গানটির মধ্য দিয়ে নৃত্যম নৃত্যগোষ্ঠীর পরিবেশনায় হয় দলীয় নৃত্য। মঞ্চে যখন অনুষ্ঠান চলছে, তখন মনে হচ্ছিল আসলেই বসন্ত এসে গেছে। ‘ধীরে ধীরে ধীরে বও’ গানের সঙ্গে নাচ পরিবেশ করে নৃত্যনন্দন শিল্পীগোষ্ঠী। ‘বসন্ত বাতাসে সইগো’ গানটি গেয়ে একক সংগীত পরিবেশ করেন শিল্পী বিমান চন্দ্র বিশ্বাস।এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করে দর্শকদের ভিড়। বর্ণিল হয়ে ওঠে চারুকলা প্রাঙ্গণ। শেষে ছিল অন্তর দেওয়ান ও তাঁর দলের নৃত্য পরিবেশনা। এরপর ছোট একটি শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হয় চারুকলার সকালের বসন্তবরণ।