নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার, ভারত ৫-২ গোলে পাকিস্তানকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে অভিযান শুরু করেছে। আগামীকাল বাংলাদেশ খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। হাতে একদিন রয়েছে। বাংলাদেশি ফুটবলাররা এখনও নেপালের আবহওয়ার সঙ্গে পুরোপুরি মানিয়ে নিতে পারেনি।
সর্দি- কাশি একআধটু ধরে বসেছে। বাংলাদেশ দলের নেপালী লিয়াজোর অফিসারও ঠান্ডায় হাঁচি দিচ্ছেন বিরক্তকরভাবে। বাংলাদেশ দল সুত্রে জানা গেছে শুধু বাংলাদেশ দলের ফুটবলারদের মধ্যেই নয়, ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপের ফুটবলারদেরও নাকি একই অবস্থা। ঠান্ডায় কিছু হলেও সমস্যা হচ্ছে। রাতে শীত বাড়ছে। শীতের প্রকোপ বেড়ে যায় রাতে, আর দিনে গরম। নাকাল অবস্থা।
ভোরে অনুশীলনে বেরিয়ে পড়েন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। কান ঢেকে রাখতে হয়। ভারত প্রথম ম্যাচে বড় জয় পেয়ে যাওয়ায় সুবিধাজনক স্থানে চলে গেছে তারা। কারন এই গ্রুপে ভারত, পাকিস্তান ছাড়াও বাংলাদেশ খেলবে। এখন পাকিস্তানকে বাঁচতে হলে বাংলাদেশের ওপর মরণ কামড় দিতে হবে। আর বাংলাদেশকে সেমিফাইনালের টিকিট পেতে হলে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততে হবে। জিতলে আর কোনো সমীকরনে যেতে হবে না। পাকিস্তানের বিদায় হয়ে যাবে।
পাকিস্তান বড় ব্যবধানে হারলেও ভারতকে নাকানি চুবানি দিয়েছে। ৩-০ গোলে পিছিয়ে থাকা পাকিস্তান জোড়া গোল করে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু ভারতীয় অভিজ্ঞ ফুটবলারদের কাছে শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে অনেক দলই প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স করতে পারে না। দ্বিতীয় ম্যাচে চেহারা বদলে যায়। সেই আশায় উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ দেখছেন না বাংলাদেশের কোচিং স্টাফ। তারা ম্যাচটা দশরথের গ্যালারিতে বসে দেখেছেন।
ম্যাচের প্রয়োজনীয় তথ্য টুকে নিয়েছেন সাবিনাদের ইংলিশ কোচ জেমস পিটার বাটলার। পাকিস্তানি ফুটবলারদের শারীরিক উচ্চতাও বেশ ভালো। বাংলাদেশের ফুটবলারদের চেয়ে ভালো। সবই ঠিক আছে, তবে দলের ম্যানেজার অনন্য জানিয়েছেন তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে জেতার লক্ষ্য নিয়েই নামছেন।