আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া ‘ফ্যাসিস্ট’ বিচারপতিদের অপসারণের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাও এবং বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
অন্যদিকে হাইকোর্ট বিভাগের ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের পদত্যাগ ও অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্য বিরোধী আইনজীবী সমাজ। এছাড়াও ফ্যাসিবাদের দোসর বিচারপতিদের অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি-লিগ্যাল উইং।
হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে পৃথকভাবে এসব কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
বৈষম্য বিরোধী আইনজীবী সমাজের ব্যানারে আইনজীবীরা সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তারা অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া আইনজীবীরা বলেন, রাষ্ট্রের ভঙ্গুর অবস্থার জন্য দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ বিচারপতিরাও দায়ী। এই বিচারপতিরা আওয়ামী লীগের নির্দেশ ও ইচ্ছাকে আইনে পরিণত করেছেন। তাদের জন্যই এতো রক্তপাত হয়েছে। শেখ হাসিনা হাজারো ছাত্র-জনতাকে হত্যার সাহস পেয়েছেন। এতো মানুষকে গুম, খুন ও হত্যার দায় এই বিচারপতিদেরও। তারা এই বিচারপতিদের স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু তারা তা এখনো করেননি। ফ্যাসিস্টদের দোসর বিচারপতিরা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল আদালত চত্বরে প্রবেশ করে। মিছিলটি অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।
ফ্যাসিস্ট বিচারপতিরা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
পূর্বঘোষিত হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালনে দুপুরে এখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে হাজারো শিক্ষার্থীর মিছিল আসে। তারা অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসর দলবাজ বিচারপতিদের অপসারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের যদি কেউ পুনর্বাসন করতে চায়, তাদেরও প্রতিহত করা হবে। শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি চলবে না। ছাত্র-জনতা হত্যার প্রতিটি ঘটনার বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনাসহ যারা বিদেশে পালিয়েছে, তাদের ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা মিছিল স্লোগানে প্রকম্পিত করে রাখে সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ। এ সময় শিক্ষার্থীরা ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই,’ ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ,’ ‘স্বৈরাচারের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান,’ ‘ঘেরাও ঘেরাও ঘেরাও হবে, হাইকোর্ট ঘেরাও হবে,’ ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা,’ ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম,’ ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।