×
ব্রেকিং নিউজ :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই : নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে : জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ওএমএস-এর আওতায় ৪৫ পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি হচ্ছে ‘অপশক্তির দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়’ আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত ভারত ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে জ্ঞান বিনিময়ে আগ্রহী নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে : নাহিদ ইসলাম দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১০-০৫
  • ২৩৩৪৪৩৬৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
নীলফামারী জেলায় তিস্তা নদীর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০ হেক্টর জমির আমন ক্ষেত। এর মধ্যে ১১ হেক্টর  আংশিক  এবং সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে নয় হেক্টর জমির আমন আবাদ। জেলা কৃষি বিভাগ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে , গত রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) তিস্তার বন্যয় জেলার ডিমলা, জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ২০ হেক্টর জমির আমন ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়। এর মধ্যে নয় হেক্টর জমির আমন ক্ষেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১ হেক্টর জমির আমন ক্ষেত। দ্রুত বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় ক্ষতির পরিমান কমেছে।
জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, তিস্তার ঢলের পানির সঙ্গে নি¤œাঞ্চলে প্রবেশ করায় আমন ক্ষেতের ক্ষতি হয়। পানির সঙ্গে পলি ও বালু প্রবেশ করেছে এসব ফসলের ক্ষেতে। দ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় অনেক আমন ক্ষেত জেগে উঠেছে। আবার অনেক ক্ষেত পলি মাটি এবং বালিতে ঢাকা পড়েছে।
তিনি বলেন,  ইউনিয়নের পূর্ব ছাতনাই ও ঝাড়সিংহেরস্বর মৌজার প্রায় চারশ’ বিঘা জমির উঠতি আমন ফসল পানি নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে নদী ভাঙন ও পলির-বালির নিচে চাপা পরে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫০ বিঘা জমির আমন ধান ক্ষেত।
জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, তিস্তার সাম্প্রতিক বন্যায়  ডিমলা, জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার নদী তীরবর্তী ২০ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত ছিল। এর মধ্যে নয় হেক্টর জমির আমন ফসল সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১ হেক্টর।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ছয়টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েণ্টে নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে দুই সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর থেকে কমতে শুরু করলে সেদিন সন্ধ্যা ছয়টায় বিপদসীমার ২০ সেণ্টিমিটার নিচে নামে। এতে দ্রুত তিস্তাপাড়ের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়।
জেলায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান জানান, সে সময় কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ঢলের পানি নেমে যাওয়ায় দ্রুত বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়। বন্যায় কোন বাধ বা স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। 
তিনি আরও  জানান,  আজ শনিবার সকাল নয়টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েণ্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহি হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ব্যারাজের ৪৪ টি জলকপাটের সবগুলো খুলে রাখা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat