×
ব্রেকিং নিউজ :
গাজীপুরে কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলার উদ্বোধন জিয়াউর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী পালন ও সদস্য পদ নবায়নে বগুড়া বিএনপির সভা রাজশাহীতে টিকাদান কার্যক্রমে আসছে ডিজিটাল মাইক্রোপ্ল্যানিং নাটোরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ৬ শহীদ পরিবারকে সঞ্চয়পত্র প্রদান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরো ৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাবিতে দিনভর বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ জবি ছাত্র-শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি মানার আহ্বান জামায়াতের ইশরাক হোসেনের ব্যাপারে মতামত চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের চিঠি আন্তর্জাতিক মেরিটাইম প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ত্যাগ করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ ‘বানৌজা খালিদ বিন ওয়ালিদ’ বৈষম্য ঘুচিয়ে নারীদের এগিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৭-২৭
  • ৯৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারের খোঁজ নিতে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের ১২ শিক্ষকের একটি প্রতিনিধিদল। তবে 'ব্যস্ততার কারণে' তাদের সঙ্গে দেখা করেননি গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৪টায় ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে শিক্ষকরা ২০ মিনিটের মতো তারা অবস্থান করেন। পরে হারুনের দেখা না পেয়ে ফিরে যান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষে উদ্বিগ্ন হয়ে আমরা সেখানে যাই। মিডিয়া থেকে আমরা জেনেছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্রকে হাসপাতাল থেকে 'অধিকতর নিরাপত্তার' জন্য এখানে নিয়ে এসেছে। হাসপাতাল থেকে কেন এখানে আনা হলো সেই খবর নিতেই আমরা এসেছি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা যখন এখানে এসেছি তখন এখানকার অফিস প্রধান (ডিবির হারুন অর রশীদ) ভেতরেই ছিলেন। তাকে খবরও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। যদিও আমাদেরকে অফিসের ভেতর থেকে বলা হয়েছিল উনার গাড়ি থামিয়ে কথা বলতে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আমরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকও বটে, কাজেই আমাদের শিক্ষার্থীরা ঠিকভাবে আছে কিনা সেই খবর আমরা কারো গাড়ি আটকে জিজ্ঞেস করবো কেন? এটা তো খুবই স্বাভাবিক যে পুরো বিষয়টা স্বচ্ছ থাকবে। কেন, কী হয়েছে আমাদেরকে বলা হবে। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, তারা আমাদের শিক্ষার্থী। তাদের চিকিৎসা থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়েই আমরা উদ্বিগ্ন। এটা আমাদের দায়িত্ব। সে কারণেই আমরা খোঁজ নিতে এসেছি। নিরাপত্তার অভাব হলে আমাদের জিম্মায়ও দিতে পারতেন।

তিনি আরও বলেন, তিনি (ডিবির হারুন অর রশীদ) তো আমাদের সঙ্গে দেখাই করলেন না! এটা অত্যন্ত অভদ্রতাসূচক কাজ হয়েছে বলে আমি মনে করি। এখানে আমরা ১২ জন শিক্ষক এসে দাঁড়িয়ে আছি, তার দেখা করার সময় হলো না। সেটা তিনি ভদ্রভাবে আমাদের জানাতেও পারলেন না, এটা ঠিক হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক থেকে ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজলী শেহরীন ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অরণি সেমন্তী খান, ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সাইমুম রেজা, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষক অলিউর সান ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার শিক্ষক তামারা মাকসুদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat