সৌদি আরবে বাংলাদেশি ও বিদেশী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট সৌদি সরকার। আর বর্তমানে সৌদি আরবে কর্মরত বিদেশী শ্রমিকদের মধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যাই সর্বোচ্চ এবং বাংলাদেশি শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম ও কাজের প্রতি আন্তরিকতার কারণেই সৌদি শ্রম বাজারে তাদের চাহিদা বাড়ছে।
আজ বুধবার সৌদি মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী উপমন্ত্রী ফয়সাল আল দাফায়ান তার কার্যালয়ে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান মো. আবুল হাসান মৃধার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও ওয়ার্কশপে আলোচনায় এই সব বক্তব্য তুলে ধরেন। বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে অধিকতর স্বচ্ছতা, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সৌদি সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে সৌদি সরকার-এমনটিই উল্লেখ করেন সৌদি উপমন্ত্রী।
সৌদি আরবে বাংলাদেশী কর্মীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও তাদের দেখভালের জন্য মিশন উপপ্রধান সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, কাজ ও ইকামার নিশ্চয়তাসহ ভিসা ইস্যুকরণ, চুক্তি শেষে নারী কর্মীদের ফেরত প্রেরণ, ইকামার মেয়াদ শেষ হওয়া কর্মীদের দ্রুত দেশে প্রত্যাবর্তন এবং মুসানিদ সিস্টেমে বাংলাদেশী রিক্রুটিং এজেন্সির অভিযোগ নিষ্পত্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সৌদি আরবের সহযোগিতা কামনা করেন। ওয়ার্কশপে সৌদি মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে সহকারী উপমন্ত্রী আরো জানান, সৌদি শ্রম বাজারে আরো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য সৌদি সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শ্রমিকদের অভিযোগ আমলে নিয়ে সমস্যা সমাধানে সম্প্রতি ১২০০ শ্রম পরিদর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যারা ২০২৩ সালে প্রায় ১০ লক্ষ অভিযোগের সমাধান করেছেন।
ওয়ার্কশপে দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কাউন্সিলর (শ্রম) মুহাম্মদ রেজায়ে রাব্বী, কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, প্রথম সচিব (শ্রম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন এবং দ্বিতীয় সচিব (প্রেস) আসাদুজ্জামান খান উপস্থিত ছিলেন।