নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের পর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহার জনগণের ইস্তেহারে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহার ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান।’ এটি বাংলার মানুষের আস্থা অর্জন করেছে, এটির প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ছিল। তাই তারা আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করেছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠকে এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে আমরা স্বাধীন দেশ পেতাম না। এ জায়গায় বসে আমরা আলোচনা করতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট এর শহীদ, মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও আত্মদানকারী মা-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর জীবনকে বাংলার মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। বাংলার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন। ৪৩ বছরের রাজনৈতিক পথ চলায় তিনি জেনারেলদের শাসন দেখেছেন। গ্রেফতার হয়েছেন। তারপরও তিনি বাংলার মানুষের কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ৭৫ পরবর্তী সামরিক শাসকরা তাঁর চরিত্র হননের অপচেষ্টা করেছে। গ্রেফতারের ভয় দেখিয়েছে, হত্যার ভয় দেখিয়েছে, ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছে, তারপরও তিনি এগিয়ে গেছেন। বাংলার মানুষের প্রতি ভরসা করে তিনি এই পর্যায়ে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি পুরো জাতি কৃতজ্ঞ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মানুষের জন্য মুত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারেন। তিনি বাংলার মানুষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তার প্রতি বাংলার মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা আছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ দিয়েছে। এটার প্রতি বাংলার মানুষের বিশ্বাস ছিল। এটি মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করেছে। বাংলার মানুষ জানতেন- প্রধানমন্ত্রী এ ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে পারবেন। ৭ জানুয়ারি ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ইশতেহার জনগণের ইশতেহারে পরিণত হয়েছে। এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমাদের। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আগামী দিনে একসাথে কাজ করব।
তিনি বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে যতটুকু প্রশংসা তার সবটুকু কৃতিত্ব আপনাদের। সবাই যদি দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করতে পারি, তাহলে আমরা লক্ষ্য নিয়ে আরো এগিয়ে যেতে পারব। বঙ্গবন্ধুর ঋণ আমরা শোধ করতে পারব না। যদি কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারি তাহলে বঙ্গবন্ধুর ঋণ কিছুটা হলেও শোধ করতে সক্ষম হব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয়-আন্তর্জাতিক প্রতিকূলতার মুখোমুখি থেকে সাহস ও দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব, আন্তর্জাতিকভাবে মাথা ব্যথার কারণ। তিনি অকুতোভয়। কোন কিছু পরোয়ানা করেন না। তাঁকে সাহস জোগানো আমাদের কর্তব্য, যাতে পরবর্তী প্রজন্ম নির্বিঘেœ দেশ পরিচালনা করতে পারে, নেতৃত্ব দিতে পারে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের কাজে সহযোগিতার জন্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। ভবিষ্যতে পারিবারিক বন্ধন দিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় একটি আকর্ষণীয় মন্ত্রণালয়ে পরিণত হবে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী দ্বিতীয় বারের মতো নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় মন্ত্রণালয় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং সংস্থা প্রধানগণ।