রমনা মডেল ও পল্টন থানার নয় মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন শুনানি শেষে দশ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। তবে পল্টন ও রমনা থানার নাশকতার দুই মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকায় তিনি এখন মুক্তি পাচ্ছেন না।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে অধিকতর জামিন শুনানির শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন।
ওই দিন সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় তাকে। এরপর রমনা মডেল ও পল্টন থানার নয় মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর তার আইনজীবীরা জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তার অধিকতর জামিন শুনানির জন্য আজ বুধবার দিন ধার্য করেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত ফখরুলের রমনার তিন ও পল্টনের ৬ মামলার গ্রেফতার এবং জামিন শুনানির জন্য গতকাল মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি’র মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে পল্টন থানার আট মামলা ও রমনা মডেল থানার তিন মামলা রয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গত ২৯ অক্টোবর গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে এ মামলায় কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
অন্যদিকে, আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে গত ১৮ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানোর পর জামিন নামঞ্জুর করে মির্জা ফখরুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।