বিএনপি অসহযোগের নামে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পায়তারা করা করছে বলে মন্তব্য করেছেন গোপালগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
আজ শুক্রবার দুপুরে টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর নিজস্ব বাসভবনে গোপালগঞ্জ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির নির্বাচন বর্জন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ সেলিম বলেন, এখন আবার অসহযোগ দিচ্ছে বিএনপি। অসহযোগ দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। অসহযোগের নামে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পায়তারা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে কোন কারচুপি হবে না। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। নির্বাচন ছাড়া কেউই ক্ষমতায় আসুক এটা আওয়ামী লীগ চায়না। সরকার পরিবর্তন করতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে। নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই।
শেখ সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে। তাই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কিন্তু সংবিধান ডিঙ্গিয়ে কোন কিছু হবে না। খুন করে গণতন্ত্র হয় না। ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ মেরে গণতন্ত্র হয় না।
বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যে সব বুদ্ধিজীবী গণতন্ত্র, গণতন্ত্র করে তারা কি কেউ মুক্তিযুদ্ধ করেছে? যারা বিবৃতি দেয় তার বাবারাও মুক্তিযুদ্ধ করে নাই। বাইরের কোন দেশ আমাদের দেশের মধ্যে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না বঙ্গবন্ধু সেটা করে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবতা কোথায় আজ লঙ্ঘিত হচ্ছে? মানবতা লঙ্ঘন তো বিএনপিই করছে। খালেদা জিয়ার অবরোধ তো চলছেই।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রত্যেক নির্বাচনে নতুন নতুন কর্মি বেরিয়ে আসে। আর নির্বাচনে না আসলে নতুন কর্মি সৃষ্টি হবে না। ভাসানী যেমন এক সময়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, আগামীতে বিএনপিও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। রাজনীতিতে ভুল করলে এই-ই হবে। আগামীতে বিএনপি বলে কোন সংগঠন ছিলো এটা ভবিষ্যত বংশধরেরাও জানবেনা।
মতবিনিময় সভায় সিনিয়র সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মুন্না, এস এম হুমায়ুন কবীর, বিটিভির টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধি মেহেদী হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও সভায় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলে নাঈম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি.এম সাহাবুদ্দিন আজম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী লিয়াকত আলী লেকু, সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।