পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, সারাদেশে নদীভাঙন রোধে কাজ করছে সরকার। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থায়ী প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ অনেকাংশে জলাবদ্ধতা ও নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।
আজ শুক্রবার ৫৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়নাধীন শরীয়তপুরের সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া হতে চরভাগা, কাঁচিকাটা হয়ে পদ্মা নদীর ডান তীর ঘেঁষে ঘড়িষার ইউনিয়নের সুরেশ্বর চরমোহন পর্যন্ত প্রায় ৬ দশমিক ২ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ” সোনার বাংলা এভিনিউ ” এর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের নদী ভাঙন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। কোথাও যেন নদী ভাঙন না হয়, সে লক্ষ্যে আগেই কাজ করা হচ্ছে। কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কারণেই গত ১৫ বছরে সারা দেশে নদী ভাঙনের পরিমাণ কমে এসেছে। এসব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই।
কাজের ব্যাপারে কোনো ধরনের গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ার করে শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন, সেজন্য তিনি আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের সুবিধা সম্বলিত দেশ গড়তে চান। আগামীতে ডেল্টাপ্লান বাস্তবায়ন হলে সারা দেশে নদী ভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না।
এনামুল হক শামীম বলেন, শুধু নড়িয়াই নয়, পদ্মাসেতু থেকে জাজিরা, সখিপুর ও শরীয়তপুর শহরেও কীর্তিনাশাকে ভাঙন হাত থেকে রক্ষায় প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। নড়িয়ার জয়বাংলা এভিনিউয়ের মতো এই এলাকায়ও পর্যটন কেন্দ্রে রূপ নিবে।
উপমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ধারাবাহিকতা রক্ষায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকেই আগামীতে ক্ষমতায় আনবে।
এ সময় উপমন্ত্রীর সাথে ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব, ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সখিপুর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্যা, সাধারন সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার, উত্তর তারাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস মোল্যা প্রমূখ। পরে উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম উত্তর তারাবুনিয়া, দক্ষিণ তারাবুনিয়া, ডিএমখালী, আরশিনগর ও সখিপুরে গণসংযোগ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।