প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুনানির জন্য ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে তার জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন ঢাকা মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন।
আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
এরআগে ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গুলশান-২ এর ৭১ নম্বর সড়কের ১৮ নম্বর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। ওইদিন রাতে তাকে ডিবি অফিস থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। সে সময় তাকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
অন্যদিকে ফখরুলের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামানের আদালতে তার জামিন আবেদন করা হয়। মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এ জামিন আবেদন করেন। আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। তারা গাছের ডাল ভেঙে ও হাতের লাঠি দিয়ে বাসভবনের নামফলকে এবং গেটে হামলা চালিয়েছে। আসামিরা ভেতরে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ ৫৯ বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
ফখরুল ছাড়াও এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, এডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।