আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বিএনপির সমাবেশের সাথে বিদেশীদেরও ষড়যন্ত্র আছে, ইন্ধন আছে। বিএনপি দেশের জনগণের সাথে প্রতারণার পর, এখন সমাবেশের নামে দলীয় নেতা কর্মীদের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছে। আসলে ফলাফল শুন্য।
মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তন চত্বরে বিভিন্ন ফলজ গাছের চারা রোপন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি ।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, কোন একটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোন বিদেশী রাষ্ট্রদূত যদি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দৌঁড়ঝাঁপ করে, তা হলে বুঝতে হবে যে- তাদের ইন্ধন আছে, তাদের কোন না কোন স্বার্থ আছে। তবে সরকারের বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ হবে না। এই সরকারের ভিত্তি হচ্ছে জনগণ। জনগণের সমর্থন যতক্ষণ পর্যন্ত আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ সরকারকে কোন শক্তি সরাতে পারবে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, মার্কিন সংস্থা আইআর এক জরিপ করে দেখেছে, দেশের ৭০ ভাগ মানুষ মনে করে শেখ হাসিনার সরকার সঠিক পথে দেশ পরিচালনা করছেন। শেখ হাসিনার প্রতি তাদের আস্থা আছে। অতএব যে সরকারের প্রতি ৭০ শতাংশ মানুষের আস্থা থাকে, সে সরকারের বিরুদ্ধে এসব আন্দোলন করে কিছু করা যায় না।
হানিফ আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালিন সময়ে এই সকারই থাকবে এবং এই সরকারের অধিনেই নির্বাচন হবে। দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস কিন্তু আওয়ামী লীগের নাই, বিএনপির আছে। বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান কিন্তু এখনো পালিয়ে আছে। এদেশ থেকে মুচলিকা দিয়ে রাজনীতি থেকে চলে গেছে। যে দলের শীর্ষ নেতা মুচলিকা দিয়ে রাজনীতি ছেড়ে পালিয়ে থাকে, সেই দলের নেতাকর্মীদের অন্যদলকে পালিয়ে যাওয়ার হুমকি ধামকি দেওয়া, এগুলো খুবই হাস্যকর ও বেমানান।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সব সময় মাঠে আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বিএনপির এই মহা সমাবেশে বিদেশী বিশেষ একটি গোষ্ঠীর ইন্ধন আছে। তবে কোন ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। কারণ জনগন আওয়ামী লীগের সাথে আছে। এর আগেও বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলন করেছে। সেই ১০ ডিসেম্বর পার হয়ে গেছে। তারা বলেছিলো, ১৮ অক্টোবরের মধ্যে সরকার পতন না হলে হাতে চুড়ি পরবেন। তাদের এইসব কথাবার্তা নিয়ে দেশবাসীও ভাবে না, আওয়ামী লীগও ভাবে না। বিএনপি নিজেদের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার জন্য মিথ্যা আস্বাস দেয়। কোন কিছুতেই আওয়ামী লীগ শংকিত নয়।
জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শেখ হাসান মেহেদী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন রাজু, শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক মো. আমিরুল ইসলামসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।