নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে তিন বিদেশিকে দেশে আসার অনুমতি দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ এ আবেদন করেন। তিনি জানান, বিদেশি সাক্ষীকে দেশে আসার অনুমতি এখতিয়ারবহির্ভূত। আমরা এই অনুমতির আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছি।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে তিন বিদেশি সাক্ষীকে দেশে আসার অনুমতি দেন আদালত। তিন সাক্ষীর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একজন এবং কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের দুই কর্মকর্তা রয়েছেন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ অনুমতি দেন।
গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান। অন্য আসামিরা হলেন-তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর সাবেক দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
অপরদিকে আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তারা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার নামে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
দুদকের করা অপর দুই মামলায় দ-প্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। সেখান থেকে পরে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ই সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। বর্তমানে তিনি রাজধানীর এভায়কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।