প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।সফররত সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক স্টেট মিনিস্টার ডায়না জান্স আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমকে বলেন, “আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।”সুইডেনও চায় বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, সুইডিশ স্টেট মিনিস্টার এ কথা উল্লেখ করেছেন বলে করিম জানিয়েছেন।
বৈঠকে উভয় নেতা বাংলাদেশ ও সুইডেনের মধ্যে চমৎকার সম্পর্কের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ এবং যুদ্ধ বন্ধের মধ্য দিয়ে বাঁচানো অর্থ মানবজাতির কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘খাদ্যশস্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত নয়।’শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার কারণে মূল্যস্ফীতি, দ্রব্যমূল্য এবং পণ্য পরিবহন খরচ বেড়েছে।সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই। কারণ, কৃষিবিদরা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন।তিনি আরও বলেন, তাঁর সরকার সারা দেশে ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে।প্রধানমন্ত্রী সুইডিশ বিনিয়োগের জন্য একটি জমির প্রস্তাবও দিয়েছেন।রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুইডিশ স্টেট মিনিষ্টা ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিককে আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বলেন, তার সরকার রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায়।তিনি বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন বিশেষকরে নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।সরকার প্রধান বলেন, দুর্ভাগ্যবশত উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় যথেষ্ট কাজ করছে না।সুইডেনের স্টেট মিনিষ্টার আরও বলেন, গভীর সমুদ্রবন্দর বাংলাদেশের উন্নয়নে বড়ো ধরনের ভূমিকা রাখবে।বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং বাংলাদেশে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে উপস্থিত ছিলেন।