কিশোরগঞ্জে ট্রাক শ্রমিক মো. জামাল উদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় আনা মামলায় আসামি রফিকুল ইসলাম রফিককে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদন্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন দন্ড দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেয়। মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স খারিজ ও আসামির আপিল আংশিক মঞ্জুর করে এ রায় দেয় উচ্চ আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালে রফিকের দোকান থেকে তার ভাগ্নে দ্বীন ইসলাম মোল্লা বাকিতে পণ্য কিনেছিলেন। বার বার চাওয়া সত্ত্বেও দ্বীন ইসলাম সেই টাকা পরিশোধ করছিলেন না। টাকার জন্য রফিক তাকে চাপ দিলে তিনি বিষয়টি প্রতিবেশী ট্রাক শ্রমিক মো. জামাল উদ্দিনকে জানান।
২০১৫ সালের ২৩ এপ্রিল বেলা পৌনে ১২টার দিকে মেঘনা ফেরিঘাটে এ নিয়ে রফিক ও জামালের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল। একপর্যায়ে রফিক ক্ষিপ্ত হয়ে জামালকে ছুরিকাঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। এ অবস্থায় জামালকে উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন নিহতের ছোট ভাই কামাল মিয়া বাদী হয়ে রফিকের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় হত্যা মামলা করেন। বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২৮ সেপ্টম্বর কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালত আসামিকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দেন।
বিধান অনুসারে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয় এবং পাশাপাশি আসামিও আপিল করেন।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে নোট দেয়ার কথা জানান ডেপুটি এটর্নি জেনারেল।