সুপ্রিমকোর্ট, সব অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনাল সংকট থাকা স্ট্যাম্প, কার্টিজ পেপার, কোর্ট ফি ও ফলিও’র স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন।
সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এসকে.এম তোফায়েল হাসান নির্দেশিত হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বরাবর গতকাল এ চিঠি দেন।
চিঠিতে বলা হয়, রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে বিচার বিভাগ অন্যতম। সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগ এবং দেশের ৬৪টি জেলার অধস্তন আদালতে প্রতি কার্যদিবসে বিচারপ্রার্থী জনগণের পক্ষে মামলা দায়েরসহ অন্যান্য দরখাস্ত দাখিলের সময় জুডিশিয়াল ও নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি সংযুক্ত করতে হয়। আদালতে দাখিলকৃত স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি’র মাধ্যমে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পেয়ে থাকে। জুডিসিয়াল ও নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প জালিয়াতির কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছিল। নকল স্ট্যাম্প ও কোর্ট কি সনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সুপ্রিম কোর্ট, ডাক বিভাগ, সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন বাংলাদেশ লিমিটেড (এসপিসিবিএল), ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট ও পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সমন্বয়ে কিছু স্বল্প মেয়াদী ও কিছু দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ICD UV LED flash light (UV-365nm) ডিভাইস ব্যবহার করে নকল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি সনাক্তকরণের জন্য সুপ্রিম কোর্ট অধস্তন আদালতের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকদেরকে প্রশিক্ষণ দেয় এবং অধস্তন আদালতে ICD UV LED flash light (UV- 365nm) ডিভাইস বিতরণ করে।
চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি গোচরীভূত হয়েছে যে, সুপ্রিমকোর্ট এবং দেশের ৬৪টি জেলাং স্ট্যাম্প, কার্টিজ পেপার, কোর্ট ফি ও ফলিও’র সংকট বিরাজ করছে। বিচারপ্রার্থীদের বাধ্য হয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে ভেন্ডারদের কাছ থেকে এসব কিনতে হচ্ছে। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ভেন্ডারদের অভিযোগ, ট্রেজারিতে স্ট্যাম্প, কার্টিজ পেপার, কোর্ট ফি ও ফলিও’র চরম সংকট থাকায় ট্রেজারি শাখা থেকে চাহিদা মতো স্ট্যাম্প, কার্টিজ পেপার, কোর্ট ফি ও ফলিওর সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। এমতাবস্থায়, সুপ্রিমকোর্টসহ অধস্তন সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালে স্ট্যাম্প, কার্টিজ পেপার, কোর্ট ফি ও ফলিও’র স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।