×
ব্রেকিং নিউজ :
সাফ শিরোপা জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে ‘জুলাই অভ্যুত্থান ২০২৪’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে বিএনপি’র লিয়াজোঁ কমিটি ও গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় ছাত্রদল ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী : নাসির উদ্দিন নাসির রাঙ্গামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ শহিদ সাংবাদিকদের পরিবার ও আহতদের পাশে থাকবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট : নাহিদ ইসলাম যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন : মির্জা ফখরুল দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংস্কার হতে হবে টেকসই, যেন আপত্তিকর চর্চার পুনরাবৃত্তি না হয় : ফলকার
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৯-০৯
  • ৫৮৮৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক অ্যাকশনের প্রয়োজন হলেই কেবল আইনটির ৪২ ধারা প্রয়োগ করা হবে। এমন এমন জায়গা আছে, যেখানে তাৎক্ষণিক অ্যাকশনের প্রয়োজন হয়। এ ধরণের ক্ষেত্রেই কেবল ৪২ ধারা প্রয়োগ করা হবে। রাজধানীর বাংলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার- বিজেসি’র চতুর্থ সম্প্রচার সম্মেলনে  প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আজ একথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ ধারার আইনি প্রয়োজন আছে। কারণ পুলিশের কাজ হলো যদি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেটা বন্ধ করা, অপরাধ সংঘটিত হলে অপরাধীদের গ্রেফতার করে বিচারে সোপর্দ করা এবং সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা। তিনি বলেন, বিচারে সোপর্দ করতে গেলে, কিছু ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সাক্ষ্য-প্রমাণ প্রয়োজন হয় এবং এই সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা তাদের দায়িত্ব।  ঐখানে যদি পুলিশের হাতটা বেধে দেয়া হয়, তাহলে তো তারা সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারবে না, কাজ করতে পারবে না।
সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে আনিসুল হক বলেন, ২০০৬ সালের আইসিটি আইনে ৫৭ ধারা যুক্ত করা হয়েছিল। এ ধারার বিষয়ে অনেক প্রশ্ন ও আপত্তি ছিল। আবার সাইবার স্পেস নিয়ন্ত্রণ বা সুরক্ষারও প্রয়োজন ছিল। এমন প্রেক্ষাপটেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল। সাংবাদিক, সংবাদ মাধ্যম বা স্বাধীন সাংবাদিকতা করার জন্য আইন বাধা হয়ে দাঁড়াক, আইসিটি এ্যাক্ট প্রণয়নের উদ্দেশ্য তা ছিল না। কেননা বাংলাদেশের সংবিধানে বাক-স্বাধীনতা এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার কথাটা একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে নিশ্চয়তা দেয়া আছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৭০০১টি মামলা দায়ের হয়েছে। তারমধ্যে এখন আছে ৫৯৯৫টি মামলা। এই মামলার শতকরা ৯৫ ভাগ দায়ের করেছে বাংলাদেশের জনগণ। এর মধ্যে হয়তো রাজনীতিবিদরাও আছেন। যখন দেখা গেল, আইনটির কিছুটা অপব্যবহার হচ্ছে তখন কিন্তু সরকার এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছে। এরপর সারা পৃথিবীর বেস্ট প্রাকটিসগুলো সম্বন্ধেও সরকার জ্ঞাত হয়েছে। এরপর যখন দেখা গেছে, আইনটিতে কিছু কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন তখন সেটা নিয়ে কথা হয়েছে, সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া তৈরির সময়ও আলোচনা হয়েছে।  প্রথম দফা আলাপে সরকার এটাকে আরো সহজ করার চেষ্টা করেছে। এখানে যেসব যৌক্তিক আপত্তি পাওয়া গেছে, সেগুলো গ্রহণ করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, সাইবার নিরাপত্তা আইন করার সময় কারো সাথে আলাপ করা হয়নি, কথাটি সত্য নয়। কেউ হয়তো বলতে পারেন তার সঙ্গে তো আলাপ করা হয়নি, অমুকের সঙ্গে তো আলাপ করা হয়নি।  কিন্তু এই আইনের বিষয়ে ধারণা নেয়ার জন্য কোথায় অসুবিধা হচ্ছে, কোথায় কি করতে হবে, সেসব কথা বলার জন্য কিন্তু আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তারপরেও যখনই আপত্তি উঠেছে, তখন আবারও আলাপ-আলোচনা করেছি। যাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে, তারা হলেন নির্বাচিত প্রতিনিধি। এরপর সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতেও আলোচনা হয়েছে। সেখানে সাংবাদিদের শীর্ষ সংগঠন বিএফইউজের বেশ কয়েকটি পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছে।  মিথ্যা মামলার বিষয়ে তাদের যে পরামর্শ ছিল, সেটা নেয়া হয়েছে। ২১ ধারার বিষয়ে বিএফইউজে থেকে যে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল, তা গ্রহণ করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু সাংবাদিক নয়- সর্বক্ষেত্রে যারা কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কর্মী আছেন তাদের সকলের স্ব-স্ব অবস্থানের সুরক্ষা প্রদানের বিষয়ে খুবই সিরিয়াস।
বিজেসি’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক রাজার সভাপতিত্বে এবং একাত্তর টিভির প্রধান পরিকল্পনা সম্পাদক নূর সাফা জুলহাস ও সিনিয়র সাংবাদিক মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় সম্মেলনের দুটি সেশনে সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, গ্লোবাল টিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইসতিয়াক রেজা, অধ্যাপক ড. শফিউল আলম, এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জয়-ই মামুন, এনটিভি’র বার্তা প্রধান জহিরুল আলম, একাত্তর টিভি’র বার্তা প্রধান শাকিল আহমেদ, নিউজ ২৪ এর নির্বাহী সম্পাদক রাহুল রাহা, ডিবিসি’র সম্পাদক প্রণব সাহা, চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান, সিনিয়র সাংবাদিক নজরুল কবীর প্রমুখ সাংবাদিকতার নীতি, সুরক্ষা ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat