×
ব্রেকিং নিউজ :
সাফ শিরোপা জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে ‘জুলাই অভ্যুত্থান ২০২৪’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে বিএনপি’র লিয়াজোঁ কমিটি ও গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় ছাত্রদল ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী : নাসির উদ্দিন নাসির রাঙ্গামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ শহিদ সাংবাদিকদের পরিবার ও আহতদের পাশে থাকবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট : নাহিদ ইসলাম যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন : মির্জা ফখরুল দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংস্কার হতে হবে টেকসই, যেন আপত্তিকর চর্চার পুনরাবৃত্তি না হয় : ফলকার
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৯-০৯
  • ৪৭২৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
মুক্তিযুদ্ধকালীন সংঘটিত অপহরণ, হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আনা মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ের আবেদ হোসেনের  বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে। 
৭ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর আগামী ১৬ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন-বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে, এম হাফিজুল আলম।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসিকিউটর মো. সাহিদুর রহমান আসামির সর্বোচ্চ সাজার পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ করছেন। তার সঙ্গে রযেছেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে রয়েছেন এডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) প্রসিকিউশনের পক্ষে মোট ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আসামিপক্ষে একজন সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারের শেষ ধাপ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন জানান, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই থেকে এ মামলার তদন্ত শুরু করে ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট শেষ হয়। ওইদিনই আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী থানার বোবড়া এলাকার আবু তৈয়বের ছেলে আবেদ হোসেন। তাকে ২০১৯ সালের ২৫ জুন গ্রেফতার করা হয়। আসামির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত অপহরণ, হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামির বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগে বলা হয়, ৭১’ এর মে মাসের শেষের দিকে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানাধীন আধারিদিঘীর পাড়ে পাকিস্তান আর্মি ও তাদের দোসর স্থানীয় রাজাকার আবেদ হোসেনসহ অন্য রাজাকাররা আধারদিঘীর পার্শ্ববর্তী বোবড়া ও অন্য গ্রাম থেকে সাতজন নিরীহ লোককে আটক করে জোরপূর্বক বাঙ্কার তৈরির কাজে শ্রমসাধ্য মাটি খননের কাজ করায়। বাঙ্কার তৈরির কাজে যেতে না চাইলে তখন আসামি আবেদ হোসেন ও তার সহযোগীরা জোরপূর্বক কাজে যেতে বাধ্য করতো।
দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানি আর্মি ও রাজাকারদের অবস্থান সম্পর্কে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজখবর দিয়ে সহায়তা করার কারণে পবেদ আলী, দুমপেল ও মজনুকে ধরে নিয়ে তীরনই নদীর পাড়ে গুলি করে মরদেহ পানিতে ফেলে দেয়। ওই ঘটনায় পবেদ আলী হাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জীবিত উদ্ধার হলেও বাকি দুজনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়, আহত পবেদ আলীকে আবার ধরে নিয়ে তীরনই নদীর পাড়ে নিয়ে গুলি করে মরদেহ পানিতে ফেলে দেয়। পরে পবেদ আলীর মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রায় অর্ধশত মামলার বিচার শেষ হয়েছে। আরো বেশকটি মামলার বিচার শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর আপিল নিষ্পত্তিসহ সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে ছয়জন আসামীর ফাসিঁর রায় কার্যকর করা হয়েছে। তারা হলেন-জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, আবদুল কাদের মোল্ল, মোহাম্মদ কামারুজ্জামন, মীর কাশেম আলী এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।
ট্রাইব্যুনালের রায় বিষয়ে বেশকটি আপিল মামলা সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat