২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারি-বেরসকারি সকল প্রতিষ্ঠানসমূহকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন।
বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নের সকল সূচকে অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই অগ্রগতিকে ধরে রাখতে সরকারি-বেরসকারি সকল সংস্থার কার্যক্রমে অধিকতর গতিশীলতা ও সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার আগারগাঁওস্থ পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ভবনে ‘বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নে এনজিওদের ভূমিকা’ শীর্ষক একটি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি ।
সভায় এসডিজি বিষয়ক উপস্থাপনা প্রদান করেন অতিরিক্ত সচিব (এসডিজি) মো. মনিরুল ইসলাম। সভায় ‘এসডিজি বাস্তবায়নে এনজিওদের ভূমিকা’ বিষয়ক উপস্থাপনা প্রদান করেন পিকেএসএফ এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মশিয়ার রহমান।
পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সারাজীবন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য সংগ্রাম করেছেন। পিকেএসএফ-এর সকল কাজের মূল দর্শন হচ্ছে এই দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানো। এ লক্ষ্যে পিকেএসএফ সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার শতকরা ২৭ ভাগ এর বয়স ২৫ থেকে ২৯ বছর। এই তরুণদের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কাজের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য কাজ করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার বলেন, ক্ষুধা নিবারণ এবং দারিদ্র্য বিমোচন থেকে শুরু করে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় এসডিজি’র বেশীরভাগ লক্ষ্য অর্জনে পিকেএসএফ কাজ করছে। তিনি বলেন, বিগত তিন দশকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে পিকেএসএফ।