×
ব্রেকিং নিউজ :
সাফ শিরোপা জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে ‘জুলাই অভ্যুত্থান ২০২৪’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে বিএনপি’র লিয়াজোঁ কমিটি ও গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় ছাত্রদল ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী : নাসির উদ্দিন নাসির রাঙ্গামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ শহিদ সাংবাদিকদের পরিবার ও আহতদের পাশে থাকবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট : নাহিদ ইসলাম যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন : মির্জা ফখরুল দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংস্কার হতে হবে টেকসই, যেন আপত্তিকর চর্চার পুনরাবৃত্তি না হয় : ফলকার
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৯-০২
  • ১০০১৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
সারা বিশ্বে মন্দা চলছে। বাংলাদেশকেও অর্থনৈতিক নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এখন দেশে বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্প গ্রহণ কিংবা প্রবৃদ্ধি অর্জনকে অগ্রাধিকারে না রেখে, আমাদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত- গরীব মানুষ কিভাবে স্বস্তিতে জীবনযাপন করতে পারে, সেদিকে। শনিবার ঢাকায় অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সদস্যদের সাথে এক আলোচনায় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা দেশকে সময় বুঝে কাজ করতে হয়। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার এই সময়ে আমাদের যতটুকু সম্পদ আছে, তার ব্যবহার কেবলমাত্র বড় প্রকল্প বা প্রবৃদ্ধি কেন্দ্রিক হলে চলবে না। নিন্ম ও  নিন্ম-মধ্য আয়ের মানুষ কষ্টে আছে, তাদের জীবনযাপন কিভাবে সহজ করা যায়- সেসব কৌশল ও কর্মসূচি সরকারের অগ্রাকিার তালিকায় থাকতে হবে।’  দক্ষ মানবসম্পদ টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রবীণ এই অর্ধনীতিবিদ বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ ছাড়া ভৌত অবকাঠামো দিয়ে কোন দেশের টেকসই উন্নয়ন হয়েছে, পৃথিবীতে এমন নজীর নেই। বরং যুদ্ধবিধস্ত জার্মানী ও জাপান দূর্বল অবকাঠামো স্বত্ত্বেও দক্ষ মানবসম্পদের কারণে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছিলো। দক্ষ মানবসম্পদ না থাকা, বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় দূর্বলতা বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে না পারলে, যেসব বড় বড় ভৌতঅবকাঠামো হচ্ছে, সেগুলোর সত্যিকারের সুফল আমরা পাবো না।  
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ মনে করেন, বড় বড় প্রকল্পের কারণে দেশে বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি হচ্ছে কি-না, প্রকল্পগুলো কতটুকু রপ্তানিমূখী কিংবা বিনিয়োগকারিরা সহজে পরিষেবা এবং জমি বরাদ্দ পাচ্ছে কি-না, সেগুলো গভীরভাবে বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি যেকোন উৎস থেকে ঋণ নিয়ে প্রকল্প গ্রহণ, উচ্চ মূল্যস্ফীতি থাকা স্বত্ত্বেও দীর্ঘদিন সুদহার আটকে রাখা, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার উন্মুক্ত না করা, রিজার্ভ থেকে ঋণ প্রদানসহ আরও কিছু অর্থনৈতিক পলিসির সমালোচনা করে বলেন- সুদহার, মুদ্রা বিনিময় হার, বাজেট ব্যবস্থাপনা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং সামষ্টিক ও বহি:অর্থনীতির ভারসাম্য সবগুলোকে সমন্বয় করে একটি স্বচ্ছ কৌশলপত্র তৈরি করতে হবে। সেটা না করলে আস্থাহীনতা তৈরি হতে পারে, যা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ব্রিকস’র সদস্যপদ পাওয়া না পাওয়ায় বাংলাদেশের অর্থনীতির কিছু যায়-আসে না। এতে আমাদের লাভ-ক্ষতি কোনটা নেই। তবে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে পশ্চিমা দেশ, চীন, ভারত সবার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখাটা জরুরি। আমাদের কৌশল সেটাই হবে। তিনি বলেন, যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, এ ধরনের কৌশল গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থেটাকে বড় করে দেখতে হবে। দলীয় স্বার্থ কোনভাবেই যেন প্রাধান্য না পায়।
প্রবীন এই অর্থনীতিবিদ বলেন, কোন কারণে ব্যবসায়ীরা যদি ধরেই নেয়, পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকবে। তখন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাটা কঠিন। তাই সরকারের নীতি-কৌশল গ্রহণটা আরও বেশি বাস্তবভিত্তিক হতে হবে। মূল্যস্ফীতির কারণেই সমাজে বৈষম্য বাড়ছে বলে তিনি মনে করেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে নিন্ম মধ্যআয়ের মানুষ সবচেয়ে কষ্টে আছে। কারণ তারা নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য যে কর্মসূচি আছে, সেগুলোর সুবিধা পায় না। এই জনগোষ্ঠির জন্য আলাদা কর্মসূচি ও নীতিকৌশল গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি।
বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ মনে করেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। এখন অর্থনৈতিক সাংবাদিকরা অর্থনীতির দৈনন্দিন নানা বিষয়ে ভাল বিশ্লেষণ করার দক্ষতা অর্জন করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। 
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat