বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যম, ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ সব মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞায় জারি করা রুলের নোটিশ ঠিকানা সংশোধন করে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামল ইসলাম, সাঈদ আহমেদ রাজা, সানজিদা খানম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঠিকানা সংশোধন করে আবেদন করতে বলেন হাইকোর্ট। পরে রিটকারী ঠিকানা সংশোধনের আবেদন করলে আদালত আজ এ আদেশ দেন।
২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকায় তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য কিংবা বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধে হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে তারেক রহমানের বিদেশে অবস্থান সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়। তারেক রহমানের পাসপোর্টের মেয়াদ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দেন আদালত।
তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলও জারি করে আদালত।
রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টেল আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লিনা।