১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের নেপথ্যের কারিগরদের স্বরূপ উন্মোচনে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠন করে তদন্তের দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশিত হলে এ ঘটনায় যুক্ত দেশি-বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র এবং এর পেছনের কারিগরদের ব্যাপারে নতুন প্রজন্ম সবকিছু জানতে পারবে।
মঙ্গলবার রাতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক ওয়েবিনার আলোচনায় বক্তারা এ দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, আমেরিকার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডি হত্যাকান্ডের ঘটনায় মার্কিন সরকারের গঠিত ‘ওয়ারেন কমিশন’ ১৯৬৪ সালে কমিশন রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে মহাত্মা গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধী হত্যাকান্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত রিপোর্ট আজ প্রকাশিত।
তেমনিভাবে, আগামীর বাংলাদেশে, ২০৫০ সালের প্রজন্ম যদি প্রশ্ন করে, আমাদের জাতির পিতাকে কি কারণে এত নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিলো? তখন তাদের সামনে অন্তত একটি প্রমাণ হাজির করা যাবে, এই হলো সেই ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট পাঠ করলে পুরো ঘটনায় যুক্ত দেশি-বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র নতুন প্রজন্মের সামনে পরিস্কার হয়ে যাবে।
ওয়েবিনারে যুক্ত বঙ্গবন্ধু পরিষদের দেশি-বিদেশি আলোচক ও বুদ্ধিজীবী সবাই এ বিষয়ে একমত হয়ে জোড়ালো বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের ঘটনায় একটি আন্তর্জাতিক কমিশন গঠন এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দেশে-বিদেশে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ।