আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, এদেশে ভোট ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে জিয়াউর রহমান। প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও ‘হ্যাঁ’ ‘না’ ভোটের নামে ব্যালেট পেপারে সিল মেরে মানুষের ভোটাধিকার লঙ্ঘন করেছে। আজকে সেই জিয়াউর রহমান সৃষ্ট বিএনপি তত্ত্বাবধায়কের দাবি করছে।
আজ রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটেরিয়ামে সম্মিলিত জাতীয় জোট ৫৮ দলীয় (ইউএনএ) আয়োজিত 'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও চলমান রাজনীতিতে ৫৮ দলীয় জোটের ভূমিকা'' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশী ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছে। জনগণই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি। সেই জনগণকে সাথে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।
তিনি বলেন, কারও ভয়ভীতিতে নয় এই দেশ পরিচালিত হবে সংবিধান অনুযায়ী। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে যারা এই দেশের পবিত্র সংবিধানকে ক্ষত বিক্ষত করেছে, জাতীয় চার মূলনীতিকে ভূলুণ্ঠিত করে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের উথান ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সম্মিলিত জাতীয় জোট ৫৮ দলীয় ইউএন এ এর মহাসচিব ডাক্তার খন্দকার মোঃ ইমদাদুল হক সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত জাতীয় জোটের মুখপাত্র আলতাফ হোসাইন মোল্লা, সম্মিলিত জাতীয় জোটের প্রধান সমন্বয়কারী শাহ ওয়ালিউল্লাহ ফরহাদ, ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টি চেয়ারম্যান প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, জাতীয় জনতা পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো: মজিবুর রহমান , জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা শরিফ হাজারী, বাংলাদেশ ইসলামিক জনতা পার্টি চেয়ারম্যান মাওলানা মোঃ আযহারুল ইসলাম, গ্রামীণ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হায়দার আলী ও ইসলামিক সমাজতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মুফতি তালিবুল ইসলাম।
সভায় সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা, দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার ব্যাপারে সম্মিলিত জাতীয় জোট ৫৮ দলীয় ইউএনএ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ঘোষণা দেয়।
এসময় আমির হোসেন আমু আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এবং সাংবিধানিক ও দেশের উন্নয়নের স্বার্থে ৫৮ দলীয় ইউএনএর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।