×
ব্রেকিং নিউজ :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই : নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে : জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ওএমএস-এর আওতায় ৪৫ পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি হচ্ছে ‘অপশক্তির দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়’ আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত ভারত ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে জ্ঞান বিনিময়ে আগ্রহী নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে : নাহিদ ইসলাম দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৮-০১
  • ২৪১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী  এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যে সন্ত্রাসী সংগঠন তা আবারও আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
মন্ত্রী আজ দুপুরে রংপুরে বাংলাদেশ টেলিভিশন কেন্দ্র প্রকল্পস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় সাংবাদিকরা ‘কানাডার আদালত পঞ্চমবারের মতো বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত  করেছে’- এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিপূর্বে বিএনপির কয়েকজন সদস্য যখন কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে, তখন কানাডার আদালত তাদের রায়ে বলেছিল- বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন এবং তারা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতাচ্যূত করতে চাচ্ছে এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত, তারা যানবাহন  পোড়াচ্ছে, মানুষ পোড়াচ্ছে। এরপর আবার কয়েকদিন আগে বিএনপির আরেকজন সদস্য সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছে এবং সে ক্ষেত্রে কানাডার ফেডারেল আদালত আবার একই রায় দিয়েছে যে, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সুতরাং তাদেরকে আর রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া যাবে না এবং এই মর্মে তার আবেদন তারা খারিজ করে দিয়েছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির লজ্জা থাকা উচিত যে, কানাডার আদালত পঞ্চমবারের মতো তাদেরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিলো এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এভাবে যখন বিএনপি সদস্যরা আবেদন করেছে, অনেক জায়গাতেই প্রায় অনুরূপ মন্তব্য করেছে যে, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।’
সাংবাদিকরা ‘বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান ও গয়েশ্বর রায়কে সরকারের পক্ষ থেকে উন্নত খাবার ও  সেবাদান প্রসঙ্গে বিএনপির বিরূপ মন্তব্য নিয়ে’- প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি আওয়ামী লীগের শিষ্টাচার এবং ১৫ বছর তাদের আদর করা হয়নি সেটি সঠিক নয়। যখনই তারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদেরকে ডিভিশন দেওয়া হয়েছে এবং কারাগারের মধ্যে যতোটুকু সম্ভব ভালো রাখা যায় সে চেষ্টা সবসময় করা হয়েছে। আমরা এবং আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে অনেক নেতা যখন গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের খোঁজখবর নিয়েছি যাতে কোনো অসুবিধা না হয়।’
তিনি বলেন, 'এটি আমাদের দলের শিষ্টাচার যা আমাদের আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখিয়েছেন। এই শিষ্টাচার বিএনপির মধ্যে নাই, এর মর্মও তারা বোঝে না।’ সেইসাথে তিনি বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ বেগম মতিয়া চৌধুরীকে রাসেল স্কোয়ারে টানা-হেঁচড়া করেছে, আমাদের জ্যেষ্ঠ নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে পুলিশ লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে। তাদের সেবা-শুশ্রুষা তো দূরের কথা কোনো কিছুই করা হয়নি। বিপরীতে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা যেটি করেছেন এটি রাজনৈতিক শিষ্টাচার। এটির প্রশংসা আমানউল্লাহ আমান নিজেও করেছেন আবার বের হওয়ার পর ভোল পাল্টেছেন।' 
বুধবার রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'মানুষের মধ্যে যে ব্যাপক সাড়া, উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি এতে এটিই প্রমাণিত হয় যে, রংপুর জেলা এবং মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে বুধবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর জনসভা প্রকৃতপক্ষে জনসমুদ্রে রূপান্তরিত হবে। যদিও আমরা মাঠে জনসভার স্থান দিয়েছি, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পুরো রংপুর শহরই জনসভার স্থলে রূপান্তরিত হবে।' 
ঢাকায় বিএনপির সোমবারের সমাবেশ প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, 'তারা নিজেরাই তো "বোল্ড-আউট" হয়েছে। বিএনপি ঢাকা অবরোধ করতে চেয়েছিলো, সেখান থেকে পালিয়েছে। সোমবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের জনসভা দেখে আমার নিজেরই লজ্জা লাগলো যে, ফাঁকা মাঠ, বিএনপির জনসভায় মানুষ এতো কম কেন! আপনারা নিশ্চয়ই টেলিভিশনে ফুটেজগুলো দেখেছেন, কত মানুষ হয়েছে, আমি জানি না তবে বড়জোর ১০-১৫ হাজারের চেয়ে বেশি মানুষ সেখানে হয় নাই।'
তিনি বলেন, 'বিএনপি এতো বড় সমাবেশের ডাক দিলো, সেখানে কোনো মানুষ নাই। নয়াপল্টনের সামনে ৩০ হাজার মানুষ ধরে রাস্তায়, সে কারণে তারা নয়াপল্টনে করতে চায়। বড় মাঠে গেলে তো বোঝা যায় কত মানুষ যোগ দিয়েছে, সে জন্য মাঠে যেতে চায় না। কালকে মাঠে যাওয়ার পর বোঝা গেছে আসলে তাদের কর্মীরাই সেখানে নাই।'
এর আগে বিটিভি রংপুর কেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের সরকার প্রত্যেকটি বিভাগে টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সে জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। রংপুর বিভাগেও বাংলাদেশ টেলিভিশনের একটি পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র স্থাপনের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। সেটি হলে এখানকার শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী সবাই সংস্কৃতির নানা বিষয়ে তাদের দক্ষতা বাংলাদেশময় তুলে ধরার সুযোগ পাবে এবং স্থানীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতিকেও তুলে ধরার সুযোগ পাবে।'
মন্ত্রী এ দিন বিটিভি রংপুর প্রকল্প প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপণ করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাব্যবস্থাপক মাহফুজা আক্তার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat