এক মামলায় আগাম জামিনপ্রাপ্ত আসামি আটকের ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনাকারী দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই আদেশ দেয়। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত মামলাটি দুই সপ্তাহের জন্য মূলতবি রাখা হয়েছে।
দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন-পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মিজানুর রহমান।
‘জামিন নেয়া শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার, আদালতে মুক্তি’ শিরোনামে গত ২০ মে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। পরদিন প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন আসামিপক্ষে নিয়োজিত আইনজীবী আলী আহসান মোল্লা।
২১ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। একই সঙ্গে ব্যাখ্যা জানাতে পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান ও এএসআই মিজানুরকে গত ১৮ জুন আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। ধার্য তারিখে গত ১৮ জুন তারা হাজিন হন। এই ঘটনার জন্য তারা ২৪ জুলাই লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সেদিন আদালত আজ ৩০ জুলাই আদেশের জন্য দিন ধার্য রাখেন। আজও দুই পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে হাজির হন।
আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী আলী আহসান মোল্লা শুনানিতে অংশ নেন। দুই পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী আবু রেজা মো. কাইয়ুম খান। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।
গত ২০ মে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পটুয়াখালী সদর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেয়া কলেজশিক্ষার্থী মো. আশ্রাফুল হাওলাদারকে আটক করে আদালতে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। ১৮ মে আসামির বাড়ি থেকে আটকের পর ১৯ মে সকালে আদালতে পাঠানো হয়। এ সময় পুলিশকে হাইকোর্টের জামিন সংক্রান্ত কপি দেখালে তা আমলে নেয়নি বলে দাবি আসামির পরিবারের।
পরিবারের অভিযোগ, আটকের পর পুলিশ মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। তা দিতে না পারায় পুলিশি ক্ষমতাবলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। হাইকোর্টের জামিননামা দেখে ১৯ মে আসামিকে ছেড়ে দেন পটুয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট।