ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতারকৃত আরও পাঁচ জনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডভুক্তরা হলেন, সজল, প্রিন্স, সাহেব আলী, শোয়েব ও বায়জিদ।
সোমবার আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান তাদের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানায় এ মামলা করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারি সুজন রহমান শুভ। মামলায় অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারে বাদি অভিযোগ করেন, ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম এবং তার ব্যক্তিগত সহকারী পরান সরকার, প্রতিনিধি রাজীব খন্দকার, মো. রনি, মো. আল-আমিনসহ অনেকে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় হিরো আলম এবং তিনিসহ (মামলার বাদি) প্রতিনিধিরা বিকেল সাড়ে ৩টায় বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। হিরো আলমসহ তারা পাঁচ-ছয়জন বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জন বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিলঘুসি মারতে থাকেন। মারধরের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে একজন হত্যার উদ্দেশে দু’হাতে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন। অন্য একজন তার তলপেটে লাথি মারলে হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যান। তখন অন্য আসামিরা হিরো আলমকে এলোপাতাড়ি কিলঘুসি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন এবং টানাহেঁচড়া করেন। ওই সময় বাদি এবং অপর ব্যক্তিগত সহকারী পরান সরকার মিলে হিরো আলমকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তারা বাদিকেসহ ব্যক্তিগত সহকারী পরান সরকার, রাজীব খন্দকার, রনি ও আল-আমিনকে মারধর করে জখম করেন। এরপর কেন্দ্রে ডিউটিরত পুলিশ এবং একতারা প্রতীকের সমর্থনকারীদের সহায়তায় হিরো আলমসহ তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।