রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে সাধারণ রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে লিভার ক্যান্সার সনাক্ত করা সম্ভব বলে জানানো হয়েছে।
আজ স্থানীয় একটি হোটেলে পিয়ার রিভিউড আন্তর্জাতিক জার্নাল নেচার কমিউনিকেশন্সে প্রকাশিত নিবন্ধের ভিত্তিতে ‘সাধারণ রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে লিভার ক্যান্সার সনাক্তকরণ’ শিরোনামে নিবন্ধটি উপস্থাপন করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, সাধারণ রক্ত পরীক্ষায় সুনির্দিষ্ট ডিএনএ মিথাইলেশন সিগনেচার পদ্ধতিতে লিভার ক্যান্সার নির্ণয় করতে সক্ষম হবে । এই পরীক্ষাটির মাধ্যমে ঝুঁকিতে আছে এমন ব্যক্তিদের (যেমন লিভারের রোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং অ্যালকোহল গ্রহণকারী) লিভার ক্যান্সার সনাক্তকরণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। ফলশ্রুতিতে এই ধরনের ক্যান্সারের সাথে সম্পর্কযুক্ত অসুস্থতা ও মৃত্যুর হার অনেকাংশে কমে আসবে।
আইসিডিডিআর,বি-র নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমীদ আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ শরফুদ্দিন আহমেদ।
এইচকেজি এপিথেরাপিউটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং কানাডার রয়্যাল সোসাইটির ফেলো প্রফেসর মোশে জিফ সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
আইসিডিডিআর, বি-র বিজ্ঞানী ডা: ওয়াসিফ আলী খান প্রটোকল টাইটেল নিয়ে আলোচনা করেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, লিভার ক্যান্সারের ব্যাপকতা বিশ্বের সব দেশেই দেখা যায় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগ দেরিতে সনাক্ত হয়। ফলে এই রোগের চিকিৎসা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় যা রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। উদ্ভাবিত এই পরীক্ষা আধুনিক সিকোয়েন্সিং।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, আমরা সবাই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে একত্রিত হয়েছি। বিশেষ ডিএনএ চিহ্নিতকারীর ওপর ভিত্তি করে এই নতুন পরীক্ষা ঝুঁকিতে আছে এমন মানুষদের সাহায্য করার পাশাপাশি ক্যান্সারের প্রভাব কমিয়ে আনবে বলে আশা করছি।
গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন বিএসএমএমইউয়ের হেপাটোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. মামুন আল মাহতাব ।
তিনি হেপাটাইটিস এবং লিভার ক্যান্সার সম্পর্কিত বাংলাদেশ এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি আরো বলেন, যদিও আরো গবেষণা প্রয়োজন, তবুও লিভার ক্যান্সার সনাক্তকরণে এই পদ্ধতি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।