ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। আজ কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের উদ্বোধন করেন।
এ সময় মেয়র বলেন, ‘আমরা ২০২১ সাল থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম তদারকি করে আসছি। ২০২১ সালে এক মাসের জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছিল। ২০২২ সালে যখন এটা বৃদ্ধি পেল তখন দুই মাসে বর্ধিত করা হয়। ২০২২ সালে এডিস মশার বিস্তৃতি আশ্বিন মাস পর্যন্ত বর্ধিত হয়েছে। সেজন্য ২০২৩ সালের কর্মপরিকল্পনায় আমরা তিন মাসব্যাপী এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজকে আমরা এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছি। সূচি অনুযায়ী পহেলা শ্রাবণ থেকে এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করলেও এবার সেদিন বন্ধ থাকায় এবার ২ দিন আগেই চালু করলাম।’
জনগণ সচেতন হলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সুফল প্রতিফলিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনার আলোকে ৭৫টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৪০ জন মশককর্মী মাঠ পর্যায়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে। এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে এ কার্যক্রম সরাসরি (ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে) তদারকি করব। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা গত দুই বছরও সুফল পেয়েছি। এবারও আমরা সুফল পাবো বলে আশাবাদী। তবে সেজন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার জনগণকে সচেতন হওয়ার আহবান জানাই।’
নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়িত কার্যক্রমের তদারকির পদ্ধতি উল্লেখ করে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আমরা যে তালিকা পাই, সেই তালিকা থেকে প্রাথমিকভাবে আমরা ডেঙ্গু রোগীর ঠিকানাগুলো চিহ্নিত করি। প্রথম পর্যায়ে সেই রোগীর ঠিকানা ও আবাসনের আশেপাশের ৪০০ গজ এলাকায় বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে সেখানে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করি।’
মেয়র এ সময় ঢাকাবাসীকে ০১৭০৯৯০০৮৮৮ নম্বরে ফোন দিয়ে এডিস মশার প্রজননস্থল বা লার্ভা সম্পর্কিত তথ্য জানাতে অনুরোধ করেন।
এছাড়াও কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বসবাসরত যে কোনো নাগরিক ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ফেসবুক পেজ (https://www.facebook.com/officialpage.dscc?mibextid=ZbWKwL) এর মেসেঞ্জারেও এডিস মশার প্রজননস্থল বা লার্ভা সম্পর্কিত তথ্য কিংবা ছবি ও ভিডিও পাঠাতে পারেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান এবং প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বক্তব্য রাখেন।