ঈদ-উল-আযহায় কুরবানি পশুর চামড়ার অতিরিক্ত সরবরাহ থাকলেও দেশ থেকে অবৈধভাবে পাচার হওয়ার কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
তিনি আজ ফরিদপুরে কুরবানির চামড়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য পরিদর্শন করার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
দেশ থেকে পশুর চামড়া পাচার হচ্ছে কিনা- সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তর তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বিজিবি, জেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। চামড়া যাতে কোনোভাবেই পাচার না সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
চামড়ার দাম প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব বলেন, ঈদুল আযহার সময় চামড়ার অতি সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কিছুটা কম থাকে। কিন্তু এই চামড়া যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে রাখা যায় তাহলে পরবর্তীতে ভালো দামে বিক্রয় করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমরা শুধু চায়নাা মার্কেটে চামড়া রপ্তানি করে থাকি। লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের সার্টিফিকেশন পেলে সব দেশই রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এতে করে চামড়ার বাজার চাঙ্গা হবে। ব্যবসায়ীরা ভালো দাম পাবেন।
ফরিদপুরে চামড়ার কোনো কেন্দ্রীয় আড়ৎ না থাকায় এখানকার চামড়া সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চামড়া নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষণ না করে বাসা-বাড়ি আথবা আবাসিক এলাকায় রাখলে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে। তাই জেলা প্রশাসককে শহরের আশপাশে জায়গা বের করে চামড়া সংরক্ষণের জন্যে একটি আড়ৎ নির্মাণের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
এসময় সিনিয়র সচিব গোয়ালচামট মোল্লাবাড়ী সড়কে মেসার্স ইলিয়াস ট্রেডার্স ও ইউনিস ট্রেডার্স এবং হাজী শরীয়ত উল্লাহ বাজার চামড়া আড়ৎ পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও নির্দিষ্ট দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে কিনা তা তদারকি করতে বেশ কিছু দোকান পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে ফরিদপুর জেলার জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, ফরিদপুর চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম এবং ফরিদপুর চামড়া ও মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জানে আলম উপস্থিত ছিলেন।