জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার (লিগ্যাল এইড) মাধ্যমে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সরকারি খরচায় আইনি সহায়তাপ্রাপ্ত উপকারভোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৯২৯ জন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ড. মো: রেজাউল করিম এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের কথা জানান।
তিনি জানান, জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে আইনি সহায়তাপ্রাপ্ত সর্বমোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৯২৯ জন। সংস্থাটি দেশব্যাপী আইনি সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় ২০০৯ সাল থেকে মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৫৬ জনকে আইনি পরামর্শ প্রদান করেছে। একই সময়কালে সংস্থাটি ৮২ হাজার ৫৮৮টি বিরোধ/মামলা এডিআর পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করেছে এবং মামলা/বিরোধের ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে ১৩৪ কোটি ৯০ লাখ ০৬ হাজার ৪৯৮ টাকা আদায় করে দিয়েছে। এভাবে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা দরিদ্র ও অসহায় বিচারপ্রার্থীদের নিকট ভরসাস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
গতকাল ২৮ এপ্রিল দেশব্যাপী আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয় : “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ বিনামূল্যে আইনি সেবার দ্বার উন্মোচন”।
‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস- ২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আইন ও বিচার বিভাগ এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর নিবন্ধন অধিদপ্তর প্রাঙ্গণ থেকে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট পর্যন্ত একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিতে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
২০১৬ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল, অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগনকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ প্রনয়ন করে। ২০০০সালে তৎকালীন শাসন আমলে আইনটি প্রনয়ন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। তারপরের সরকারগুলো আইনটি কার্যকরে উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্টিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ দরিদ্র ও অসচ্ছল জনগণের বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতে আইনটি কার্যকরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।