দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সারা দেশে ছয় জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৮০৮ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ৪৪৫ জনেই অপরিবর্তিত রয়েছে।রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৩৩৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয় ২ হাজার ৩৩৪টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ০ দশমিক ৫১ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৭২ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১ হাজার ৮৩৭ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর একই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
পরবর্তী সময়ে করোনার ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর একই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এরমধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট সর্বোচ্চ ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়। এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃতের সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ডেলটার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় আবারও মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হলেও এখন পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে।