২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নির্বাচিত হওয়ার পর পদটি লাভজনক বলে প্রশ্ন তোলাকে অবান্তর বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
তিনি বলেন, একদম সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ বৈধ। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর এবং উচিৎ নয়।
সুপ্রিমকোর্টের নিজ কার্যালয়ে সাংবদিকদের প্রশ্নের জবাবে আজ এসব কথা বলেন এটর্নি জেনারেল।
রাষ্ট্রপতির নিয়োগ যথাযথভাবে হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, একদম সম্পূর্ণভাবে তিনি বৈধ। এটাতে কোনও প্রশ্ন তোলা অবান্তর এবং উচিত নয়।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ৪৮, ৬৬ ও ১৪৭ অনুচ্ছেদ মিলিয়ে পড়লে দেখা যাবে এটা কোনোভাবেই লাভজনক পদের মধ্যে পড়ে না। রাষ্ট্রপতি কেনোক্রমেই সরকারের কর্মে নিয়োজিত কোনও ব্যক্তি নন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে আওয়ামী লীগ দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনকে মনোনয়ন দেয়। এই পদে একক প্রার্থী হওয়ায় ১৩ ফেব্রুয়ারি তাকে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ এপ্রিল।
মো. সাহাবুদ্দিন এর আগে ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার। আইন অনুযায়ী, দুদক কমিশনাররা কোনো ধরনের লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন কি-না, মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এ নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন।
এটর্নি জেনারেল আজ বলেন, রাষ্ট্রপতি কোন লাভজনক পদ নয়। নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়োগ বৈধ। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর। তিনি বলেন, এ নিয়ে সংবিধানে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি ১৯৯৬ সালে হাইকোর্টে আনা এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে লাভজনক ও অলাভজনক পদ বিষয়ে রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত।