হার দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নবম আসর শেষ করলো ঢাকা ডমিনেটর্স।
টুর্নামেন্টের ৩৭তম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ১৫ রানে হারলো ঢাকা। এই হারে টুর্নামেন্টে ১২ ম্যাচ খেলে ৩টি জয় ও ৯টি হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এখন পঞ্চম স্থানে ঢাকা। অন্য দিকে ১১ ম্যাচে ৩ জয় ও ৮টি হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে পিছিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে চট্টগ্রাম। চট্ট্রগামের অবশ্য এখনো এক ম্যাচ বাকি আছে।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে আজ টস জিতে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক শুভাগত হোম।
ব্যাট হতে নেমে ঢাকা ডমিনেটর্সের দুই বোলার আরাফাত সানি ও আল-আমিন হোসেনের তোপের মুখে পড়া চট্টগ্রাম সাত ওভারে ২৮ রানেই ৫ উইকেট হারায় ।
উদ্বোধনী জুটিতে ১৮ রান যোগ করেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার মেহেদি মারুফ ও ইরফান শুক্কুর। পঞ্চম ওভারে ব্যক্তিগত ৭ রান করা শুক্কুর সানির শিকার হলে প্রথম উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। পরের ওভারে ব্যক্তিগত ৮ রানে রান আউট হন আরেক ওপেনার মারুফ।
এরপর ভারতের উন্মুথ চাঁদকে খালি হাতে বিদায় করেন আল-আমিন। চট্টগ্রামের মিডল-অর্ডারের দুই ব্যাটার আফিফ হোসেন ও শুভাগতকে ১ রানের বেশি করতে দেননি সানি।
শুরুতেই মহাবিপদে পড়ে যাওয়া চট্টগ্রামকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন পাকিস্তানী উসমান খান ও আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্পার। ষষ্ঠ উইকেটে ৩৯ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন তারা।
১৪তম ওভারে ক্যাম্পারকে (১১)আউট করে জুটি ভাঙ্গেন আফগানিস্তানের স্পিনার আমির হামজা। পরের ওভারে উসমানকে ব্যক্তিগত ৩০ রানে থামিয়ে ইনিংসে নিজের চতুর্থ উইকেট শিকার করেন সানি। ২৯ বল খেলে ৪টি চার মারেন উসমান।
১৭তম ওভারে জিয়াউর রহমানের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে ৫ রানে রান আউট হন আফগানিস্তানের দারউইশ রাসুলি। এতে ৮ উইকেট ৮০ রানে পরিনত হয় চট্টগ্রাম। ফলে ১শ রানের নীচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে চট্টগ্রাম। কিন্তু শেষ দিকে ২০ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে চট্টগ্রামকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেন জিয়া। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। বল হাতে ২২ রানে ৪ উইকেট নেন সানি।
জয়ের জন্য ১১৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ঢাকার ওপেনার সৌম্য সরকার। চট্টগ্রামের পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির করা দ্বিতীয় ওভারে ৩টি চার মারেন তিনি। দলীয় ২২ রানে আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে(২) শিকার করে চট্টগ্রামকে প্রথম সাফল্য এনে দেন শুভাগত।
ষষ্ঠ ওভারে থামেন সৌম্য। ক্যাম্পারের বলে বোল্ড হয়ে ১৬ বলে ২১ রান করেন একবার জীবন পাওয়া সৌম্য। তিন নম্বরে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আরিফুল হক। ৭ রানে ফিরেন তিনি।
মিডল-অর্ডারে ছোট-ছোট ইনিংস খেলে ঢাকাকে জয়ের পথে রেখেছিলেন অধিনায়ক নাসির হোসেন ও ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স ব্লেক। তবে নাসিরকে ২৪ রানে ক্যাম্পার ও ব্লেককে ১৩ রানে ফিরিয়ে দেন নিহাদুজ্জামান। এতে ৮৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ঢাকা।
৯৮ রানে পৌঁছাতে অষ্টম উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে ঢাকা। জাহিদুজ্জামানকে ১৮ ও শরিফুল ইসলামকে ৩ রানে আউট করেন মৃত্যুঞ্জয়। হামজাকে ১ রানে আউট করেন ক্যাম্পার।
ম্যাচ জিততে এমন অবস্থায় ২ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ওভারে ১৯ রান দরকার পড়ে ঢাকার। জিয়ার করা ঐ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩ রান নিতে পারে ঢাকা। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৩ রান করে ম্যাচ হারে ঢাকা। চট্টগ্রামের ক্যাম্পার ৩টি, মৃত্যুঞ্জয়-জিয়া ২টি করে উইকেট নেন।