ঢাবি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন কার্যক্রম শুরু ২৭ ফেব্রুয়ারি। আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
আজ বৃহস্পতিবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণি’ পরিবর্তন করে ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’ নামকরণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়া, ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোটার সাথে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ কোটা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখিত শিক্ষাবর্ষে ৪টি ইউনিটের মাধ্যমে ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিটগুলো হচ্ছে, ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’, ‘বিজ্ঞান ইউনিট’, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’ এবং ‘চারুকলা ইউনিট’। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সোমবার থেকে অনলাইনের মাধ্যমে প্রার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন গ্রহণ শুরু হবে।
আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর ১ঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।
সভায় জানানো হয়, ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষা ৬ মে শনিবার, ‘বিজ্ঞান ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষা ১২ মে শুক্রবার, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষা ১৩ মে শনিবার এবং ‘চারুকলা ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অংকন) ২৯ এপ্রিল শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, সকল ইউনিটের পরীক্ষা সকাল ১১ টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
‘চারু“কলা ইউনিট’ ছাড়া অন্য ৩টি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্যান্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের গঈছ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শুধুমাত্র চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের গঈছ এবং ৬০ নম্বরের অংকন পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চারুকলা ইউনিটের গঈছ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য ইউনিটের গঈছ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ণ করা হবে। এরমধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলাফলের উপর থাকবে ২০ নম্বর।
ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ন্যুনতম যোগ্যতা হিসেবে ২০১৭ থেকে ২০২০ সন পর্যন্ত মাধ্যমিক/সমমান এবং ২০২২ সনের উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ‘বিজ্ঞান ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যুনতম ৮ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫, ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যুনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ এবং ‘চারুকলা ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দুটির যোগফল ন্যূনতম ৬.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।