শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের উদ্বোধনী দিনে আরো একটি সাদামাটা ব্যাটিংয়ে ব্যাটারদের উপর ক্ষোভ ঝাড়লেন করে স্বাগতিক বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স বলেছেন, দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং দীর্ঘ এই ফর্মেটে দলের অগ্রগতিকে বাঁধাগ্রস্ত করছে।
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ভারতের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েও টাইগাররা মাত্র ২২৭ রানে অলআউট হবার পর অত্যন্ত হাতাশ হয়ে পড়া সিডন্স বলেন,‘ ছয়-সাত মাস ধরে আমি আছি। এ বিষয়ে অনেক কথাও হয়েছে। কিন্তু মাঝপথে ব্যাটরদের শুধু একজনই শট খেলতে পারে। তারা যদি ২৮ রান তুলতে পারলে আরো ২৮ রান তোলার জন্য ব্যাটিং চালিয়ে যেতে হবে। আমরা যখন একটি খেলার পরিবর্তন দেখতে শুরু করি তখনই গতি বেড়ে যায়। সাকিব ডাউন দ্যা উইকেটে চলে যায়, লিটন মেরে খেলার চেস্টা করে, মেহেদি বেপরোয়া শট খেলে। পরে তারা মাথা নাড়তে নাড়তে চলে আসে এবং ভাবে ‘ কেন আমি এটা করলাম’।
কিন্তু তাদেরকে আরো দয়িত্ব নিতে হবে। একই ধাচে থেকে তাদেরকে পুরো ছয় ঘন্টা কাটাতে হবে। আমরা দিনের শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং চালিয়ে যাবার কথা বলি, একে অপরের সঙ্গে গ্লাভস পাঞ্চ করি এবং সতীর্থের সঙ্গে হাঁটার সময় কথা বলি। কিন্তু ২৮ বা ৩০ রান পাচ্ছি না। এটা বার বার ঘটতে থাকে।
সিডন্স বলেন, আমি কৌশল এবং মানষিক বিষয় নিয়ে কাজ করি। কিন্তু এক বা দুইজন ছাড়া কারো মধ্যে কৌশলগত সমস্যা আছে বলে মনে করি না। তারা সিদ্ধান্ত নেয় ডাউন দ্য উইকেট খেলবে বা বাতাসের মধ্যে বল জোরে পেটাবে। তাৎক্ষনিকভাবে এটি সংশোধন করা আমার জন্য কঠিন।’
উমেষ যাদব চার উইকেট পাওয়ায় বেশি ক্ষুদ্ধ সিডন্স।অথচ উইকেটে পেসারদের জন্য কিছুই ছিল না। ১২ বছর পর টেস্টে ফেরা ভারতীয় পেসার জয়দেব উনাদকত আরো দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিংকে তছনছ করে দিয়েছে। সফরকারীদের হয়ে বাকী চার উইকেট তুলে নিয়েছেন অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ফলে চমৎকার উইকেটে প্রথমে ব্যাটিং পেয়েও বাংলাদেশের বিপক্ষে দিনটিতে সফরকারীরা আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়।
সিডন্স বলেন,‘ এটি খুবই হতাশার। আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। আপনি যখন শুরুর সুযোগ পাবেন তখন বড় স্কোর গড়তে হবে। এটি কিছুটা চট্টগ্রামের মতো। সেখানে তিন থেকে চারজন ২০ এর কোটায় এবং বাকীরা ১৫ থেকে ১৬ এর কোটায় ছিল। শুধুমাত্র একজন আমাদের জন্য কাজ করেছে।
এভাবে আমরা খুব বেশী উইনিং স্কোর করতে পারব না। সবাই সেট হবার পর একই মানষিক ত্রুটিতে ভুগতে থাকে। বল ঘুরলেও পেসাররা সুবিধা করতে পারছিল না। তারপরও উমেষের চার উইকেট পাওয়াটা বেশ হতাশার।’
৮৪ রান নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে শুধুমাত্র মোমিনুল হক তার দায়িত্বটুকু পালন করেছেন। যার সুবাদে দল ২০০ রান অতিক্রম করতে পেরেছে। তবে চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে তাকে একাদশ থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল। যে মাঠে তার সফলতা ছিল ঈর্ষনীয়।
এ বিষয়ে সিডন্স বলেন,‘এটি নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত। তবে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে মোমিনুল চার ইনিংসে ১০ রানের বেশী করতে পারেনি। তাই আমরা তাকে বিশ্রাম দিয়েছিলাম।’