পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানির অভিযোগে করা পল্টন থানার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামানের আদালতে তাদের আইনজীবী এ জামিন আবেদন করেন । শুনানি শেষে বিচারক এ আবেদন নামঞ্জুর করেন।
আসামিদের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী শেখ শাকিল আহম্মেদ রিপন ও জাকির হোসেন জুয়েল।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরও আগে গত ১২ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
গত ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে। এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেফতারকৃত আসামি বিএনপি নেতাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন অনেকে। এসময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল-ডাল, পানি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা করে। মামলায় অজ্ঞাত আরও দেড় থেকে দু’হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপাসনের বিশেষ সহকারি শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ। এদের মধ্যে আমান উল্লাহ আমান ও আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল জামিনে রয়েছেন।