ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের মলচত্বরে শতবার্ষিক স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবার্ষিক স্মৃতিস্তম্ভ অসীমতার স্তম্ভে বিশালতা,অন্তর্ভুক্ততা ও উদারতা’- নির্মাণ কার্যক্রমের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
শতবর্ষ পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে উদ্বোধনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন ও এই স্মৃতিস্তম্ভ নিমার্ণ কাজের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক নিসার হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ইতিহাস, ঐতিহ্য, অর্জন, মৌলিক দর্শন ও মূল্যবোধকে অন্তর্ভুক্ত করে এই স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে পরিবেশ, প্রকৃতি ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের মিথস্ক্রিয়া ঘটবে।
তিনি আরো বলেন,নান্দনিক এই স্থাপনা নতুন ও অনাগত প্রজন্মের কাছে উদারনৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের বার্তা পৌঁছে দেবে এবং তারা এই স্থাপনা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অর্জন সম্পর্কে জানতে পারবে।
তিনি গুণগতমান নিশ্চিত করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
শতবার্ষিক এই স্মৃতিস্তম্ভের বেদির আয়তন ৭ হাজার ২০০ বর্গফুট যার দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট ও প্রস্থ ৬০ ফুট। মূল স্তম্ভের দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট, প্রস্থ ৩০ ফুট ও উচ্চতা ২৫ ফুট। এর ওয়াটার গার্ডেনের ব্যাস ৬০ ফুট ও গভীরতা ৫ ফুট। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের প্রকাশ হিসেবে ১০০টি বাতি থাকবে এবং ২০টি ‘হিস্ট্রি প্যানেল’ নির্মাণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা, সাইকেল স্ট্যান্ড, রিসাইকেল বিন, চার্জিং পয়েন্টসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকবে। মনুমেন্ট নির্মাণের জন্য মলচত্বর এলাকার গাছপালা অক্ষত রেখে পেভমেন্ট, রোড, ড্রেন ও বৈদ্যুতিক কাজ সম্পন্ন করা হবে।