রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে নির্মাণ শ্রমিক শিপনকে (৩২) মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদন্ডের পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারি ইশতিয়াক আলম জনি বিষয়টি জানিয়েছেন।
রায়ে পর্যাবেক্ষণে বিচারক বলেন, শিশুরা যদি তাদের আশেপাশের প্রতিবেশীদের কাছে নিরাপদ না থাকে তা সমাজের জন্য অশনি সংকেত। আসামি একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে নিজের পাশবিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে ভিক্টিমের জীবনে কালিমা লেপন করেছে এবং তার জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছে। আসামির এ কাজের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর ৯ (২) ধারায় বর্নিত সর্বোচ্চ শাস্তি তার প্রাপ্য। আসামিকে এ ধারায় মৃত্যুদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হলো।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই দুপুরে আসামি শিপন কাজ থেকে বাড্ডায় তার ভাড়া বাসায় আসে। এসময় ভুক্তভোগী শিশুকে তার বাসার সামনে দেখে। তখন আসামি ঔ শিশুকে ডেকে ভাত খাওয়ায়। খাওয়া শেষে সে শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী শিশুটি চিৎকার করলে তার মুখ ও গলা চেপে ধরে রাখে। শিশু নিস্তেজ হয়ে পড়লে আসামি তাকে বাথরুমে ফেলে রেখে চলে যায়। ঘটনার পরদিন ৩১ জুলাই ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মেহেদী হাসান বাদি হয়ে বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করেন।
২০১৯ সালের ২৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই রাশেদুল আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।