১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরও একটি মামলার বিচার শেষ পর্যায়ে রয়েছে।মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে এ পর্যন্ত ৪৮ মামলার বিচার শেষে রায় ঘোষণা করা হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেয়।
একটি মামলায় বাগেরহাটের খান আশরাফসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করার জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
আসামিদের বিরুদ্ধে শুনানিতে আইনজীবী ছিলেন প্রসিকিউটর মো. মোখলেসুর রহমান বাদল, সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি ও প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন এডভোকেট গাজী এমএইচ তামিম।
২০১৭ সালের ৩১ মে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেয়া হয়। পরে ফরমাল চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।
মামলায় আসামিরা হলেন- বাগেরহাটের খান আশরাফ আলী (৬৫), খান আকরাম হোসেন (৬০), সুলতান আলী খান (৬৮), রুস্তম আলী মোল্লা (৭০), ইদ্রিস আলী মোল্লা (৬৪), মকছেদ আলী দিদার (৮৩), শেখ মো. উকিল উদ্দিন (৬২), শেখ ইদ্রিস আলী (৬১), শেখ রফিকুল ইসলাম ওরফে বাবুল (৬৪), মো. মনিরুজ্জামান হাওলাদার (৬৯), মো. হাশেম আলী শেখ (৭৯), মো. আজাহার আলী শিকদার (৬৪), মো. মকবুল মোল্লা (৭৯), মো. আব্দুল আলী মোল্লা (৬৫)।
আসামিদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট জেলার কচুয়া ও মোড়েলগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকায় আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ ও হত্যার ৭টি অভিযোগ আনা হয়েছে।