রাজধানীর রমনা থানার মাদক এবং অস্ত্র মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়েছেন যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।
রোববার অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে এবং ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোরশেদ আহম্মেদের আদালতে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের মামলার চার্জ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন স¤্রাট আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা প্রদান করেন। এরপর সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা পৃথক দু’ মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। উভয় আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৩ আগস্ট, ২০২৩ দিন ধার্য করেন।
এরআগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদি হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য আইনে পৃথক দু’মামলা করেন। ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, স¤্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। তিনি আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা তার সহযোগি এনামুল হক আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেন।
আসামিদের বিদেশ গমনের তথ্য পর্যালোচনা করে জানা যায়, স¤্রাট ২০১১-২০১৯ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাইয়ে দু’বার এবং একবার হংকং ভ্রমণ করেন। একই সময়ে আরমান ২৩ বার সিঙ্গাপুরে ভ্রমণ করেন ।
২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর স¤্রাটের নাম উঠে আসে।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা স¤্রাট ও আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব।
ওই দিন দুপুরে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে বাহিনীটির একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে। কার্যালয়ে অবৈধভাবে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বর্তমানে স¤্রাট জামিনে রয়েছেন।