পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) মামলায় পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত।
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে বাবুলের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন জানালে বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম আবেদন মঞ্জুর করেন। তার সাত দিনের রিমান্ড শুনানি আজ দুপুরে সংশ্লিষ্ট আদালতে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিন সকালে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে বাবুল আক্তারকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে বুধবার তার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন থানা পুলিশ। আদালত আসামির উপস্থিতিতে এ বিষয়ে শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ চার জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদি হয়ে এ মামলাকরেন।
মামলার অন্য দু’আসামি হলেন, বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু (৪৫) ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া (৭২)। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।
বনজ কুমার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, পিবিআই, চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্তাধীন থাকাকালে প্রধান আসামি হিসেবে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের নাম বেরিয়ে এলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলে থাকা বাবুল আক্তার মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ ও পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য অপর আসামিরা দেশে ও বিদেশে অবস্থান করে অপরাধমূলক বিভিন্ন অপকৌশল এবং ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাবুল আক্তার ও অন্যান্য আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ৩ সেপ্টেম্বর বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় তার ফেসবুক আইডি ও ইউটিউব অ্যাকাউন্টে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে,খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোডকরেন।